ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য পেপারলেস স্মার্ট সরকারব্যবস্থা গ্রহণ করা। যেখানে সরকারের কোনো সেবা পেতে জমির পরচা থেকে শুরু করে আদালতের কোনো শুনানি, জমির রেজিস্ট্রেশন, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের, কোনো স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য ডাক্তারের সহায়তাসহ যেকোনো সেবা পাওয়ার জন্য স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিকদের কোনো দপ্তরে ঘুরতে হবে না। তাঁরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে পেপারলেস স্মার্ট সার্ভিস হাতের মুঠোয় পাবেন। সেটিই হচ্ছে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য।’
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, সারা দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ১৪টি সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ৩ একর জায়গায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী তিন বছরের মধ্যে সেন্টার নির্মাণকাজ শেষ হবে। প্রতিবছর এই সেন্টার থেকে অন্তত এক হাজারের বেশি ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা কীভাবে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে হয়, কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয়, কীভাবে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে হয়, কীভাবে এআরভিআর কনটেন্ট তৈরি করতে হয়, সে সম্পর্কে তাঁরা নতুন কারিকুলামে শিখতে পারবেন।
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে এবং মুঠোফোনের সিম কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ও তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এ জন্য তিনি ইন্টারনেট সেবা সুলভ ও সহজলভ্য করেছেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ। অনুষ্ঠানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।