জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের সময় উপকূলীয় এলাকার নিয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
যেখানে তিনি বলেছেন, উপকূলীয় এলাকার পোল্ডারসমূহে এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ভিত্তিক মনিটরিং (পর্যবেক্ষণ) ব্যবস্থার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও এআই, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস এবং বিগ ডাটা ব্যবহারের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত ও আন্তঃদেশীয় পানি প্রবাহের তথ্যাদি সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ পদ্ধতির উন্নয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যেখান মন্ত্রী বলেন হাওর এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত হাওর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকার ১৫৪টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের ৪০টি সংস্থা ইতোমধ্যে ১১০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, নদীমাতৃক দেশের কৃষির উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় পানি সম্পদের যথাযথ ও সুচিন্তিত ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিসীম। পানি সম্পদের দক্ষ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন রোধ, নদী ড্রেজিং, সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নেওয়া ১৮২টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে গত তিন বছরে ৯২টি বাস্তবায়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর চতুর্পাশে বহমান নদীগুলোতে বিশুদ্ধ পানি প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ‘বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, পুংলি ও ধলেশ্বরী নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা শহরের উত্তরাংশে জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দুটি পাম্প স্টেশন নির্মাণের ফলে উত্তরা, মিরপুর, পল্লবী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণ সম্ভব হয়েছে। ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন ও খালের উভয় পাড়ের উন্নয়ন ও সুরক্ষা শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে।