ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় আমরা অনেকেই সাইবার হামলা ও প্রতারণার শিকার হয়ে থাকি। এসব প্রতারণা থেকে আমাদের নিরাপদ থাকা জরুরি। ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় সাইবার হামলা ও প্রতারণা থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে গুগল ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে। চলুন তাহলে গুগলের পরামর্শগুলো জেনে নেওয়া যাক।
একই পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করা:
অনেকেই ই-মেইলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করলে হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সব অ্যাকাউন্টে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে গুগল। এমনকি পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিয়মিত অ্যাপ হালনাগাদ:
সফটওয়্যার ও অ্যাপের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময় সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকাররা। আর তাই ত্রুটি সমাধানে নিয়মিত নিজেদের তৈরি অ্যাপ হালনাগাদ করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মনের ভুলে বা অবহেলা করে অনেকেই নিয়মিত অ্যাপগুলো হালনাগাদ করেন না। এর ফলে অ্যাপে থাকা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকাররা। আর তাই অনলাইনে নিরাপদ থাকতে হলে নিয়মিত অ্যাপ হালনাগাদ করতে হবে।
ফোনের লক স্ক্রিনে সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা:
অপরিচিত ব্যক্তিদের ফোন ব্যবহারের সুযোগ না দিতে অনেকেই ফোনে লক স্ক্রিনের সুবিধা ব্যবহার করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ‘১২৩৪’ বা সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার কারণে অন্যরা খুব সহজেই লক স্ক্রিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে ফোন ব্যবহার করতে পারেন। আর তাই নিরাপদ থাকতে লক স্ক্রিনে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে হবে।
যাচাই না করে লিংকে ক্লিক নয়:
সাইবার অপরাধীরা এসএমএস বা ই-মেইলের মাধ্যমে ক্ষতিকর লিংক পাঠিয়ে ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করায়। আর তাই অপরিচিত ব্যক্তিদের পাঠানো কোনো ই-মেইল বা বার্তায় থাকা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রেরকের পরিচয় নিশ্চিত না হলে ই-মেইল ও বার্তা খোলার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।
রিকভারি ই-মেইল ব্যবহার:
অনেক সময় পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে অ্যাকাউন্ট উদ্ধারে রিকভারি ই-মেইলের প্রয়োজন হয়। ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও অনেকে অ্যাকাউন্টে রিকভারি অপশনে ই-মেইল ঠিকানা যুক্ত করেন না। আর তাই অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে রিকভারি ই-মেইল যুক্ত করতে হবে।
দুই স্তরের নিরাপত্তাসুবিধা চালু:
টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা দুই স্তরের নিরাপত্তাসুবিধা চালু থাকলে অন্য কোনো যন্ত্র থেকে কেউ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে গেলেই ফোনে কোডযুক্ত একটি বার্তা আসে। কোডটি ব্যবহার করেই শুধু অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায়। এর ফলে হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড হ্যাক করলেও জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকে। আর তাই অনলাইনে নিরাপদ থাকতে পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সুবিধা ব্যবহার করতে হবে।