বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তেই কৃষি থেকে শুরু করে নানা কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি নানাভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভার দক্ষিণ উপকূলে ১৬টি পুকুরে চিংড়ি চাষে এআই ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষকদের এআই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করানোর কাজ করছে ইফিশারি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
ইফিশারিন কর্মকর্তা এলসা ভিনিটা বলেন, ‘চিংড়ি খুবই সংবেদনশীল প্রাণী। পুকুরে একটি চিংড়িতে ভাইরাস সংক্রমণ হলে পুরো পুকুরের সব চিংড়ি মারা যায়। আমরা চিংড়ি চাষে এআই ব্যবহার করছি। একটি খামার ভালোভাবে পরিচালনা করতে এআই ব্যবহারের সুযোগ আছে। চিংড়িকে সুস্থ রাখতে আমরা সাহায্য করতে মাস আহ্যা নামে একটি জেনারেটিভ এআই সহকারী ব্যবহার করছি। একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এই এআই ব্যবহারের সুযোগ আছে। আমরা মাইক্রোসফটের আজুর ব্যবহার করছি।
এর মাধ্যমে চিংড়ি চাষে দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ আছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাস আহ্যা জাভানিজ ভাষায় ব্যবহারের সুযোগ মেলে। চাষিরা পুকুরের জলের গুণমান, পোনার অবস্থা, চিংড়ির বাজারমূল্য বিভিন্ন বিষয়সহ এআই থেকে তথ্য পাচ্ছেন।’
ক্যাটফিশ চাষি জিব্রান হুজাইফাহ ২০১৩ সালে ইফিশারি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট অব থিংসভিত্তিক খামার ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চালু হয় ইফিশারি। বান্দুংভিত্তিক ইফিশারি এখন মাছ ও চিংড়ি চাষকে আধুনিকীকরণ করতে এআইয়ের ব্যবহার করছে। আমরা প্রায় ২ লাখের বেশি চাষি ও খামারিকে সহায়তা করছি। গত বছরের শেষ দিকে ইফিশারি চিংড়ির গুণমান মনিটর করতে এআই ব্যবহার শুরু করে।
ইফার্ম নামে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকেরা সরাসরি এআই টুলসের মাধ্যমে কাজ করতে পারে। বর্তমানে বাহাসা ইন্দোনেশিয়া, জাভানিজ ও ইংরেজি ভাষায় সহায়তা নেওয়ার সুযোগ আছে। শুধু চিংড়ি নয় তেলাপিয়া চাষের জন্য এআই টুলস ব্যবহার করছেন কৃষকেরা।