নতুন ডিভাইসটি এর পূর্বসূরীর চেয়ে আকারে ছোট ও হালকা হলেও এতে যোগ হয়েছে ‘এম৪’ চিপ।
আইপ্যাড প্রো’র নতুন এক সংস্করণ উন্মোচন করেছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল, যা কোম্পানির ইতিহাসের সবচেয়ে পাতলা পণ্য।
৭ মে এক অনলাইন আয়োজনের মাধ্যমে ডিভাইসটির প্রথম ঝলক দেখায় অ্যাপল।
কোম্পানি বলেছে, আইপ্যাড ডিভাইসের প্রথম উন্মোচনের পর থেকে আইপ্যাডে আসা ‘সবচেয়ে বড় আপডেট’ এটি।
নতুন ডিভাইসটি এর পূর্বসূরীর চেয়ে আকারে ছোট ও হালকা হলেও এতে যোগ হয়েছে ‘এম৪’ চিপ। এর মানে, অ্যাপলের অনেক ম্যাক ডিভাইসের চেয়েও শক্তিশালী এটি।
আর এতে ব্যবহার করা হয়েছে পুরোপুরি নতুন এক ধরনের ‘ওলেড’ স্ক্রিন, যাকে ‘আলট্রা রেটিনা এক্সডিআর’ নামে ডাকছে অ্যাপল। আর এ সুবিধাটি ছোট আইপ্যাড প্রো’র পাশাপাশি বড় আকারের আইপ্যাড প্রো’তেও আসবে।
পাশাপাশি, এতে ‘ন্যানোটেক্সচার্ড গ্লাস’ নামের বিকল্পও রাখবে অ্যাপল যাতে স্ক্রিনে প্রতিফলন ও একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার প্রবণতা কমে আসে।
অ্যাপল বলেছে, নতুন ডিসপ্লে’র সক্ষমতা ও আকারে ছোট ট্যাবলেটের মানে, এতে নতুন চিপ প্রয়োজন ছিল। আর এটি এল ‘এম৪’ হিসেবে, যদিও অ্যাপল সম্প্রতিই ম্যাক আপডেট করে এতে ‘এম৩’ প্রজন্মের চিপ বসিয়েছে।
নতুন এই চিপে সিপিইউ’র কার্যকারিতা এর আগের আইপ্যাড প্রো’র চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। এমনকি অর্ধেক বিদ্যুৎ খরচেও এর কার্যকারিতা একই।
নতুন চিপের জন্য এর ‘নিউরাল ইঞ্জিন’ অংশের দিকে বিশেষভাবে মনযোগ দিয়েছে অ্যাপল, যা বিভিন্ন এআইভিত্তিক কাজ করার লক্ষ্যে তৈরি। এদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজারে প্রতিযোগীরা এগিয়ে গেলেও অ্যাপল এতে পিছিয়ে আছে, যার জন্য কিছু জায়গায় সমালোচনাও শুনতে হয়েছে কোম্পানিটিকে।
তবে অ্যাপলের দাবি, নিজস্ব চিপের জন্য নিয়োজিত এআই হার্ডওয়্যার যোগ করে তারা আসলে এ বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
নতুন আইপ্যাডের স্টোরেজ এর আগের আইপ্যাড প্রো’র দ্বিগুণ। এর মধ্যে ছোট ১১ ইঞ্চি সংস্করণের আইপ্যাড প্রো’র দাম শুরু ৯৯৯ ডলার থেকে ও এর চেয়ে বড় ১৩ ইঞ্চি ডিসপ্লেওয়ালা ডিভাইসের দাম এক হাজার ২৯৯ ডলার।