মহাশূন্যে পাড়ি জমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সশস্ত্রবাহিনীর স্পেস প্লেন বা মহাকাশ বিমান। এই বিশেষ মহাকাশযানটি আগামী কয়েক বছর মহাশূন্যে অবস্থান করবে। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তত্ত্বাবধানে এই মহাকাশ বিমানটি উড্ডয়ন করে।
সংবাদ সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এই মহাকাশ বিমানটির নাম এক্স-৩৭ বি। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কে মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের রকেট ফ্যালকনে চড়ে উড্ডয়ন করে মহাকাশ বিমানটি। উড্ডয়নের সময় এতে কোনো নভোচারী ছিলেন না। বলা হচ্ছে, মহাকাশে অবস্থানকালে এই মহাকাশ বিমানটি অন্তত গোপনীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণা চালাবে।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই এই মহাকাশ বিমানটিকে মহাশূন্যে পাঠানোর কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে তখন তা সম্ভব হয়নি। তবে এটিই এক্স-৩৭ বির প্রথম ফ্লাইট নয়। এর আগেও এই মহাকাশ বিমান আরও ৬ বার মহাশূন্যে গিয়েছে। ২০১০ সালে চালুর পর থেকে এই মহাকাশ বিমানটি ১০ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছে মহাশূন্যে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে মহাশূন্যে প্রায় আড়াই বছরের মিশন শেষে এক্স-৩৭ বি পৃথিবীতে ফিরে আসে। তবে এবারে ঠিক কত সময় মহাকাশ বিমানটি মহাশূন্যে থাকবে সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেননি মার্কিন স্পেস ফোর্সের কর্মকর্তারা। তবে এই ফ্লাইট আনুমানিক কয়েক বছর মহাশূন্যে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি এক্স-৩৭ বি নাসার স্পেস শাটলগুলোর সঙ্গে বেশ সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে ২৯ ফুট লম্বা এই মহাকাশ বিমানগুলো স্পেস শাটলের আকারের তুলনায় মাত্র এক-চতুর্থাংশ। কোনো মহাকাশচারী ছাড়াই এক্স-৩৭বি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে পারে এবং একাই যে কোনো স্পেস স্টেশনে অবতরণ করতে পারে।