৩৮ বছরের দীর্ঘ জীবন শেষ করে অবশেষে নাসার এক কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মিলিয়ে যেতে চলেছে। কৃত্রিম উপগ্রহটির মোট ওজন প্রায় ২ হাজার ৪৫০ কিলোগ্রাম। রবিবার রাতে এটি পৃথিবীর দিকে নেমে আসবে।
কৃত্রিম উপগ্রহটি ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট’ বা ERBS নামে পরিচিত। বিজ্ঞান গবেষণা, পর্যবেক্ষণে এই উপগ্রহটি ব্যবহার করা হতো। পৃথিবী কীভাবে সূর্য থেকে শক্তি শোষণ করে এবং বিকিরণ করে তার পর্যবেক্ষণও করা হতো।
নাসা জানিয়েছে, এর বেশিরভাগটাই বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময়েই পুড়ে যাবে। সামান্য কিছু টুকরো পড়ে থাকতে পারে। তাই এটি নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই।
১৯৮৪ সালে স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জারের মাধ্যমে এটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল যে এটি মাত্র ২ বছর কাজ করবে। কিন্তু ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমে ওজোন এবং অন্য বায়ুমণ্ডলীয় বিষয়গুলোর পরিমাপ করা হতো।
২০০৫ সালে কাজ থেকে অবসর নেয় আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট। তখন থেকে মহাশূন্যে আগের মতোই ভেসে বেড়াচ্ছিল এটি।
স্যাটেলাইটটি চ্যালেঞ্জার মহাকাশযানের মাধ্যমে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছিল। সেটিও এক ঐতিহাসিক বিষয়। মার্কিন মুলুকের প্রথম নারী মহাকাশচারী স্যালি রাইড এই স্পেস শাটলের রোবটিক আর্ম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্যাটেলাইটটি স্থাপন করেন।
এই একই মিশনে কোনো মার্কিন মহিলা নভোচারী প্রথম স্পেসওয়াক করেন। তার নাম ক্যাথরিন সুলিভান। সেই প্রথমবারেই দুই নারী মহাকাশচারী একসঙ্গে মহাকাশে পাড়ি দেন।