২০২৪ সাল থেকে ইউরোপে সব ইলেকট্রনিক ডিভাইসে একই ধরনের চার্জিং ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। এ লক্ষ্যে গত জুনে অভিন্ন চার্জিং নীতিমালা পাস করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ নীতিমালার আওতায় স্মার্ট ডিভাইস নির্মাতাদের জন্য ইউএসবি টাইপ-সি চার্জার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নতুন এ নীতিমালা মেনে ২০২৪ সাল থেকে আইফোনেও ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট ব্যবহারে বাধ্য হবে অ্যাপল। ইইউর মতো একই নীতিমালা করতে যাচ্ছে ভারতও। নীতিমালাটি কার্যকর হলে ইউরোপীয় দেশগুলোর মতো ভারতেও নির্মাতাদের ইউএসবি টাইপ-সি চার্জার সিস্টেম দিতে হবে। ইইউর নীতিমালায় মূলত বেকায়দায় পড়েছে আইফোন নির্মাতা অ্যাপল। কেননা স্যামসাং, অপো, হুয়াওয়ে কিংবা অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসে ইউএসবি সি-টাইপ চার্জার সাপোর্ট করলেও আইফোনের চার্জিং ব্যবস্থা আলাদা।
এতে করে আইফোনের চার্জার দিয়ে শুধু আইফোনই চার্জ করা যায়। অন্যদিকে ইউএসবি টাইপ-সি সমর্থন করায় স্যামসাংয়ের চার্জারে অ্যাপল বাদে অন্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনও চার্জ করা সম্ভব। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ স্মার্ট ডিভাইসের পাশাপাশি ফিচার ফোনের জন্য পৃথক চার্জিং পোর্ট নিয়েও নীতিমালা করতে ইচ্ছুক। ভারতের ভোক্তাবিষয়ক সচিব রোহিত কুমার সিং সম্প্রতি বলেছেন, কেন্দ্রের তৈরি একটি টাস্কফোর্সের বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।
বৈঠকে চার্জারের দুটি স্ট্যান্ডার্ডের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। স্মার্ট ডিভাইসের ক্ষেত্রে এক ব্র্যান্ডের ফোনের চার্জারে যেন অন্য ব্র্যান্ডের ফোন চার্জ করা যায়, এটি নিশ্চিত করা; পাশাপাশি ফিচার ফোনের জন্যও একই ঘরানার চার্জার ব্যবস্থা তৈরি। মূলত ইলেকট্রনিক বর্জ্যে পরিবেশদূষণ কমানোর পাশাপাশি গ্রাহকদের বাড়তি খরচের বোঝা কমাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে ইইউ। ইইউর দেখানো পথেই এবার হাঁটছে ভারত। ২০২১ সালে প্রায় ৫০ লাখ টন ই-দূষণ করেছিল ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।