পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র চীনের মুকুটে যোগ হল আরও একটি নতুন পালক। এবার মহাকাশে স্বয়ংক্রিয় কার্গো বিমান পাঠাল দেশটি। এর নাম তিয়ানজু -২। আগামী দিনে মহাকাশচারীদের পাঠানোর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় এই কার্গো বিমান সাহায্য করবে বলে দাবি করেছে চীন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই স্বয়ংক্রিয় বিমান মহাকাশ কক্ষপথ মেনেই চলাচল করবে। তিয়ানজু -২ মহাকাশযানটি সাতটি রকেট বহন করতে সক্ষম। দক্ষিণ চীনের ওয়েংচং স্পেস লঞ্চ কেন্দ্র থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
চীন ম্যানডেড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিয়ানজু -২ বা চীনের “হ্যাভেনলি ভেসেল” দেশের দক্ষিণ অংশের ওয়েংচং স্পেস লঞ্চ সেন্টার থেকে ৭টি রকেট নিয়ে উড়েছে।
তিয়ানজু -২ হল চীনের দ্বিতীয় মিশন। তবে চীনের স্বয়ংক্রিয় মহাকাশযান তৈরির উদ্যোগ এটাই প্রথম। দিন কয়েক আগেই মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে নেমেছে চীনের ঝুরং রোভার। লাল গ্রহের বায়ুমণ্ডলের বাধা পেরিয়ে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে ইউটোপিয়া প্ল্যানিশিয়া লাভাভূমিতে নেমেছে।
চীনের ঝুরং রোভার মঙ্গল গ্রহ ঘুরে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ছবি সংগ্রহ করছে। চীনের এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছিল নিহাও মার্স। এক কথায় মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছে চীন। প্রথম মিশনেই সফলভাবে প্রদক্ষিণ, অবতরণ এবং রোভিং করাতে পেরেছে তারা। চীনের পাঠানো ঝুরং এবার মঙ্গলের মাটিতে ঘুরবে। মঙ্গল গ্রহের আনাচে-কানাচে থেকে পাথর সংগ্রহ করবে। মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য পাবে চীন। চীনের আগে একমাত্র মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে সফলভাবে কোনও বাধা বিপত্তি ছাড়াই পৌঁছতে পেরেছে রাশিয়া এবং আমেরিকা।