লকডাউন চলাকালীন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরো দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন দেয়া হয়েছে। তবে শর্ত সাপেক্ষে শিল্প-কারখানা খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানও খোলা রাখা হয়েছে। এদিকে, করোনার সময় থেকে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে যে কথাটি সেটা হল ওয়ার্ক ফোর হোম অথবা বাসায় বসেই কাজ। তবে ঘরে বসে কাজ বা পড়াশোনা যাই বলি না কেন, সব কিছুই চলে প্রযুক্তি খাতের বদৌলতে। অথচ এই প্রযুক্তি খাতই পড়েছে লকডাউনের আওতায়।

তবে জন গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা রাখার জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য, আইসিটি বিভাগ, ৮টি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের আবেদন জানিয়েছে বিসিএস।

সকল প্রকার জরুরি সেবা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে প্রযুক্তি পণ্যের গুরুত্ব উল্লেখ করে বিসিএস সভাপতি বলেন, \’দীর্ঘ ১৪-১৫ মাস কোভিড সিচুয়েশনের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এই সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় ওয়ার্ক ফোর্স ছিল আইসিটি সেক্টর। তাই আমাদের যে জীবনধারা, আমাদের ব্যবসা, পড়াশোনা, সব কিছুকে সচল রাখার জন্য এই সেক্টর খোলা রাখা আবশ্যক। তাই এই সেক্টরকে লকডাউনের বাইরে রাখলে খুশি হব।\’

এ সময় বিসিএসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইসিটি সেক্টর ছাড়া কিন্তু এই ওয়ার্ক ফোর হোম বলেন বা পড়াশোনা, অফিস আদালত কিছু সম্ভব নয়। তাই এই সেক্টর খোলা না রাখা মানেই তো আমরা অচল। করোনার প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবাসহ সরকারী জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, আইটিএস, বিপিও, আইএসপি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সচল রাখা, ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য এটিএম বুথ চালু রাখা, অনলাইন বা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে বাসায় বসে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা, কল সেন্টারসহ সকল প্রকার জনগুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা চালু রাখতে কম্পিউটার হার্ডওয়ার পণ্য যেমন ল্যাপটপ, মডেম, রাউটারসহ কম্পিউটারের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, অনলাইন ইউ.পি.এস অপরিহার্য। তাই এসব চালু রাখার জন্য এই সেক্টর খোলা রাখা অপরিহার্য।

হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা মার্কেটগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলা রাখার প্রস্তাব করে এ সেবাকে জরুরি পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান বিসিএস সভাপতি।

Scroll to Top