প্রযুক্তির জগতে অনেকটা হঠাৎ করেই আলোড়ন তুলেছে তুরস্কে তৈরি একটি ভিডিও কলিং ও মেসেজিং অ্যাপ \’বিপ\’। আর তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে যারা ভাবেন বা নিত্যকার অ্যাপ সমন্ধে আপডেটেড থাকেন এমন মানুষ মাত্রই বাংলাদেশে ‘বিপ’ অ্যাপ ডাউনলোডের হিড়িকের কথা জানেন।
‘বিপ’ নিয়ে এখন নানা প্রকার আলোচনায় মুখর তরুণ প্রজন্ম। বিভিন্ন তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের অ্যাপ \’বিপ\’ এখন অনেকে দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তুরস্কের এ ম্যাসেজিং অ্যাপ। তবে বাংলাদেশে এই অ্যাপের জনপ্রিয়তা সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দুটি কারণে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিপ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়ে থাকতে পারে। প্রথমত, প্রাইভেসি নিয়ে মানুষ আগের চেয়ে বেশি সচেতন। বাংলাদেশেও প্রাইভেসি গুরত্ব দেওয়া হয়। সেজন্য অনেকে বিপ ডাউনলোড করে থাকতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে বিপ ব্যবহারের ঘোষণা দেওয়ার কারণে একটা প্রভাব পড়তে পারে। এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যেতে পারে।
অ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এখানে সিক্রেট চ্যাট করার ব্যবস্থাও রয়েছে। কোন ব্যবহারকারী যদি নির্দিষ্ট সময় পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ মুছে দিতে চান, তাহলে সে অনুযায়ী সময় সেট করা যাবে।
তুরস্কের এক পত্রিকা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তন করার কথা ঘোষণা করার পর থেকে প্রতিদিন ২০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে বিপ।