নতুন কম্পিউটার কেনার প্রথমাবস্থায় নতুন শ্বশুর বাড়ির মতোই কম্পিউটার আপনাকে খাতির যত্ন করবে। তারপর ধীরে ধীরে কম্পিউটারের গতি কমতে থাকবে। একসময় দেখবেন, একটি ফোল্ডার খোলার পর পরবর্তী ফোল্ডার খুলতে এতোটাই সময় লেগে যায় যে, এই সময়ে আপনি হালকা একটা চা নাস্তা করার সুযোগ পেয়ে যান। কম্পিউটারের গতি বাড়ানো যায় বেশ কিছু বিষয় সজাগ থাকলে। চলুন জেনে নেয়া যাক তেমন কিছু নিয়মকানুন –
১. কম্পিউটারে কখনও অনলাইন থিম, অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার ইন্সটল করা ঠিক নয়। থিম কম্পিউটারকে অনেক ধীরে গতি করে ফেলে।
২. কোনো কিছু ডিলিট করার পর রিসাইকেল বিন সব সময় ফাঁকা রাখুন। রিসাইকেল বিনে কোনও ফাইল রাখবেন না।
৩. Start থেকে Run-এ ক্লিক করে একেক করে Prefetch, temp, %temp%, cookies, recent লিখে ok করুন। ফোল্ডারগুলো খুললে সবগুলো ডিলিট করে ফেলুন। কিছু সময় পরপর Start থেকে Run-এ ক্লিক করে tree লিখে ok করুন। এতে র্যামের কার্যক্ষমতা বাড়বে।
৪. \”মাই কম্পিউটার\” খুলে সি ড্রাইভের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। তারপর \”Disk Cleanup\” এ ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। নতুন উইন্ডো এলে বাম পাশের সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ok করুন। এভাবে প্রত্যেকটি ড্রাইভ ক্লিন করতে পারেন।
৫. ভাইরাসের কারণে পিসি ধীর গতি হয়ে যেতে পারে। এজন্য নিয়মিত ভাইরাস স্ক্যান করুন। অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন। তবে ভুলেও একই পিসিতে একাধিক অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করবেন না।
৬. অতিরিক্ত ধুলোবালির জন্য কম্পিউটার ধীর গতি হয়ে যেতে পারে। এজন্য মাসে অন্তত একবার হলেও সিপিইউ খুলে এর ধুলাবালি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
৭. সি ড্রাইভের অপ্রয়োজনীয় ডাটা অন্য ড্রাইভে রাখার চেষ্টা করুন।
৮. অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার পিসি থেকে আনইন্সটল করে ফেলুন। অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের কারণেও পিসি ধীর গতি হতে পারে।
৯. আপনার কম্পিউটার এর ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে রাখুন।
১০. একমাস পরপর আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং হিস্টোরি এবং কুকিস মুছে ফেলুন। তাতে আপনার ব্রাউজারের গতি বাড়বে। একসাথে ব্রাউজারে বেশি ট্যাব খুলে রাখবেন না। যে ট্যাবটি দরকার শুধু সেটিই খুলুন। কাজ শেষ হলে পুরনোটা কেটে আবার নতুন একটি খুলুন। আর ব্রাউজারে অ্যাডস অন ব্যবহার করবেন না।
১১. মাসে অন্তত একবার হলেও কম্পিউটারের র্যাম খুলে পরিষ্কার করে আবার লাগান, তাতে মাঝে মাঝে রিস্টার্ট হওয়া কিংবা ডিসপ্লে না আসার সমস্যা কমবে।
১২. অটোমেটিক আপডেট এবং ফায়ারওয়াল অফ করে রাখুন।
১৩. যেসব প্রোগ্রাম কিংবা সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না, এগুলো একেবারে বন্ধ করে রাখুন। কারণ বন্ধ না করলে এই প্রোগ্রাম কিংবা সফটওয়্যারগুলো আপনার পিসির র্যামের জায়গা দখল করে আপনার পিসিকে ধীর গতি করে রাখবে।
১৪. সবসময় নিজের কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ খুলে রাখতে নেই। আপনার কম্পিউটার নিয়মিত পাওয়ার সুইচ অফ রাখার অভ্যাস করুন।
১৫. বড় সাইজের ফাইল কম্পিউটার থেকে সরিয়ে ফেলুন।
১৬. কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার কেনা।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
