‘ব্লু হোয়েল’ গেমের ৫০ চ্যালেঞ্জ

রাশিয়ান মরণঘাতী খেলা `ব্লু হোয়েল` এখন একটি আতঙ্কের নাম। ফিলিপ বুদেকিনের এ গেমের ফাঁদে পড়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশি।

রাশিয়া, ইউরোপ, ভারত, পাকিস্তানের পর এ `ব্লু হোয়েল` জ্বরে আক্রান্ত বাংলাদেশও। গেমটি মূলত পরিচালিত হয় একটি চক্রের মাধ্যমে। একবার এই গেম ইনস্টল করলে আর ডিলিট করা যায় না।

কেউ যদি একবার গেমটি খেলতে রাজি হয়, তবে তার পরিণতি নির্ঘাত মৃত্যু। অবশ্য অন্য কোনো গেমের মত এটি নয়। ব্লু হোয়েল খেলতে হলে জীবনের বাস্তবতাকেও এক করতে হয়! গেমটিতে একজন গেমারকে ৫০ টি চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়। সব শেষ ধাপটিতে গেমারকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়।

ব্লু হোয়েল গেমের ব্যাপারে সচেতন করার জন্য ভয়াবহ এই গেমের ৫০টি চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হল-

১। প্রথমধাপে কিউরেটর গেমারকে ব্লেড কিংবা রেজার দিয়ে নিজের হাতে কোনো নির্দিষ্ট একটা নাম, সংখ্যা বা চিত্র অঙ্কন করতে বলে এবং প্রমাণ হিসেবে এর ছবি তুলে কিউরেটরকে পাঠাতে বলে।

২। এ ধাপে ভোর ৪টা ২০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে কিউরেটরের পাঠানো ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখতে বলা হয়।

৩। তৃতীয় ধাপে ফের হাত কাটা। নিজের হাত কাটতে হবে। তিনটি দাগ কেটে তার ছবি এডমিনকে পাঠাতে হবে।

৪। চতুর্থ ধাপে হাতে ব্লু হোয়েল তথা তিমি মাছের ছবি একে গেমের কিউরেটরকে পাঠাতে হবে।

৫। গেমার যদি `হোয়েল` হতে চান তবে পায়ে `ইয়েস` লিখে জানাতে হবে। না চাইলে নিজেকে ক্ষত বিক্ষত করতে হবে।

৬। একটি গোপন ধাঁধা দেয়া থাকবে, তার সমাধান করতে হবে।

৭। নিজের হাত কেটে `এফ ৪০` লিখে তার প্রমাণ হিসেবে ছবি তুলে অ্যাডমিনকে দেখাতে হবে।

৮। নিজের ভিকনটাকের স্ট্যাটাসে (`#i_am_whale (rus. #я_кит)` লিখতে হবে।

৯। শরীর ও মৃত্যুর ভয়কে জয় করার প্রমাণ দেখাতে হবে।

১০। ভোর ৪টা ২০মিনিটে ঘুম থেকে উঠে উঁচু ছাদে হাঁটতে হবে।

১১। আবারো হাতে ব্লেড কিংবা রেজার দিয়ে তিমি আঁকতে হবে।

১২। সারাদিন ভৌতিক এবং সাইকোডেলিক ভিডিও দেখতে হবে।

১৩। অ্যাডমিন যে গান পাঠাবে তা শুনতে হবে।

১৪। নিজের ঠোঁট কেটে দেখাতে হবে।

১৫। সুঁই দিয়ে হাতের বিভিন্ন জায়গায় ফুটো করতে হবে।

১৬। নিজেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তুলতে হবে।

১৭। পরিচিত সবচেয়ে উঁচু ছাদে নিজেকে নিয়ে যেতে হবে এবং কিছুক্ষণ তার একেবারে কোণায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।

১৮। ব্রীজের কিনারে যেতে হবে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।

১৯। একটি ক্রেনের ওপর উঠতে হবে, না পারলে চেষ্টা করতে হবে।

২০। অ্যাডমিন যাচাই করে দেখবে গেমারকে বিশ্বাস করা যায় কিনা।

২১। স্কাইপেতে অন্য গেমার কিংবা কিউরেটরের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

২২। পা ঝুলিয়ে কিছুক্ষণ একটি উঁচু ছাদে গিয়ে বসতে হবে।

২৩। এবার একটি ধাঁধার সমাধান করতে হবে।

২৪। গোপনীয় কাজ দেয়া হবে। তবে কি কাজ সেটা এডমিনের ওপর নির্ভর করবে।

২৫। গেমারকে আরেকজন গেমারের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

২৬। অ্যাডমিন গেমারের মৃত্যুর একটি তারিখ নির্ধারণ করবেন এবং গেমারকে তা বিনা বাক্যে মেনে নিতে হবে।

২৭। ভোর ৪টা ২০মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং রেলপথ বেছে সেখানে হাঁটতে হবে।

২৮। সারাদিন কারো সঙ্গে কথা বলা যাবে না।

২৯। গেমার যে একজন `হোয়েল` হতে পেরেছেন তা নিশ্চিত করতে মাথা নিচু করে সম্মান জানাতে হবে।

এরপর ৩০ থেকে ৪৯ ধাপে প্রতিদিন ৪টা ২০মিনিটে ঘুম থেকে উঠে ভৌতিক ভিডিও দেখতে হবে। তাদের পাঠানো গান শুনতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন শরীরের যে কোনো স্থানে ক্ষত সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি অন্য গেমারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

৫০. একটি উঁচু ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে হবে। কাজেই এমন ভয়াবহ গেম থেকে সাবধান থাকুন! ব্লু হোয়েল আতঙ্ক নয়, সচেতনতা গড়ে তুলুন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল

Scroll to Top