এক সময় বাজারে দাঁপিয়ে বেড়িয়েছে ব্ল্যাকবেরির বিভিন্ন মডেলের মোবাইলফোন গুলো। আইফোনের মতো তখন ব্ল্যাকবেরির ফোনগুলি ছিল আভিজাত্যের পরিচায়ক।
বিজনেস পারসন, গর্ভমেন্ট অফিসিয়াল এবং রাষ্ট্রীয় পদাধিকারীদের প্রথম পছন্দ হিসেবে গণ্য হতো ব্যাকবেরির ফোন। কোম্পানির তৈরি কার্ভ, পার্ল, বোল্ড সিরিজের কোয়ার্টি কিপ্যাডের ফোনগুলো বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
কিন্তু প্রথমে অ্যাপেলের আইফোন ও পরে গুগল অ্যান্ড্রয়েড বাজারে আসার পর ব্ল্যাকবেরি ফোনের বিক্রি ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। এরপর ২০১৬ সালে টিএলসি কমিউনিকেশনের সঙ্গে ব্ল্যাকবেরি তাদের স্মার্টফোন সফটওয়্যার এবং ব্রান্ড লাইসেন্সিং এর চুক্তি করেছিল। কিন্তু তারপরও ব্ল্যাকবেরি ওএসের বদলে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা টিসিএলের বানানো ব্ল্যাকবেরি ব্রান্ডেড ফোনগুলো বাজারে খুব একটা সারা ফেলতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই চলতি বছরে টিসিএলের সাথে ব্ল্যাকবেরির পার্টনারশিপের চুক্তি শেষ হওয়ার পর সেটি আর নবায়ন করা হয়নি।
মনে করা হচ্ছিল, ব্ল্যাকবেরি তাদের স্মার্টফোনের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে চলেছে। কিন্তু, রিপোর্ট অনুযায়ী ব্ল্যাকবেরি অনওয়ার্ড মোবিলিটি নামের আমেরিকার একটি স্টার্টআপ এবং ফক্সকন অধীনস্থ এফআইএইচ মোবাইল লিমিটেডের সাথে একটি নতুন পার্টনারশিপ লাইসেন্সিংয়ের মাধ্যমে ২০২১ সালেই নর্থ আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে কামব্যাক করতে চলেছে।
জানা গেছে, ব্ল্যাকবেরির নতুন ফোনটিতে ফাইভ জি টেকনোলজির সাথে ব্ল্যাকবেরি ফিজিক্যাল কিবোর্ড থাকবে। সংস্থাটি ইতিমধ্যে ব্ল্যাকবেরি ব্রান্ডেড ফোন ডেভলপ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রোডিউস করার জন্য অনওয়ার্ড মোবিলিটি ও এফআইএইচ-কে স্বত্বাধিকার দিয়েছে।
বলা বাহুল্য, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাথে ফিজিক্যাল কিবোর্ডের কম্বিনেশান পছন্দ করেন এমন মানুষের সংখ্যা নগণ্য। তবে এখনও ব্ল্যাকবেরির প্রচুর লয়্যাল ফ্যান এবং সিনিয়র সিটিজেন এরকম আছেন যারা ফিজিক্যাল কিবোর্ডই বেশি পছন্দ করেন এবং তাদের কাছে ব্ল্যাকবেরির ফোন মার্কেটে নতুনরূপে ফিরে আসা যথেষ্ট আনন্দদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছর টিসিএলের সাথে পার্টনাশিপের মাধ্যমে ব্ল্যাকবেরির স্মার্টফোনের ব্যবসা খুব একটা ভাল সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়নি। এখন এটাই দেখার বিষয়, সংস্থার আসন্ন ফোনটি ক্রেতাদের চাহিদা কতটা পূরণ করতে পারবে। তবে ফোনটির হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার স্পেসিফিকেশন কিরকম হতে চলেছে সেই সর্ম্পকিত তথ্য আপাতত অমিল।