মহামারী করোনাকালীন সময়ে ঘরবন্দী জীবনে হাঁসফাঁস করছে শিশু। ঘরে থেকেই অফিসের ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মজীবী মানুষ। কেউ বা আবার গেমস খেলে, মুভি দেখে কিংবা পড়াশোনা করে কাটাচ্ছেন সময়। তবে সব মিলিয়ে সময়টা সবার জন্যেই এখন চ্যালেঞ্জের। কারণ সুস্থও তো থাকতে হবে!
মহামারী করোনার এই সময়টায় স্মার্টফোন হয়ে উঠছে অন্যতম সঙ্গী। কেননা এই সঙ্গীটিই দ্রুত যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছে একে অপরকে, এনে দিচ্ছে সারাবিশ্বের খবর, বিনোদন আরো কত কী! স্মার্টফোন ব্যবহার করেই অনলাইনে অফিসের কাজ সেরে নিচ্ছেন কর্মজীবীরা। শিক্ষার্থীরা অনলাইনেই করছে ক্লাস! আর সেজন্যেই মানুষ এখন খুঁজছে আরো নতুন, দীর্ঘসময় ব্যবহার উপযোগী ডিভাইস। তবে, এখন খরচাটাও করতে হবে বুঝে-শুনে।
তাইতো- এসব কিছুর সমন্বয়ে বাজারে এসেছে মধ্য ক্রয়সীমার ভিভো ফোন \’ভিভো ওয়াই৫০\’। শক্তিশালী ব্যাটারির কারণে ফোনটি খুবই দ্রুতগতির। এছাড়া ভিভো ওয়াই ৫০ এর ডিসপ্লেটাও বেশ বড় আর দেখতে দারুণ!
চীন ও ভারতে জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে গত ১৮ জুন দেশের বাজারে স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই৫০ নিয়ে আসে বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভিভো। ভিভো ওয়াই৫০ ফোনের প্রধান আকর্ষণ হলো- এর ক্যামেরা, ব্যাটারি ও ডিসপ্লে ডিজাইন। ভিভো ওয়াই৫০ ফোনে যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ পাঁচটি ক্যামেরা। আছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পায়ার ক্ষমতার বড় ব্যাটারি। এ ছাড়াও রয়েছে ৬ দশমিক ৫৩ ইঞ্চির আইভিউ ডিসপ্লে। ভিভো ওয়াই৫০ ফোনে ৮ জিবি র্যামের সঙ্গে আছে ১২৮ জিবি স্টোরেজ।
বাংলাদেশে ভিভো ওয়াই৫০ পাওয়া যাচ্ছে আইরিশ ব্লু ও পার্ল হোয়াইট রঙে। স্মার্টফোনটিতে এতকিছু, তাই বলে দামটা সাধ্যের বাইরে নয়। ভিভো ওয়াই ৫০ এর দাম রাখা হয়েছে ২২,৯৯০ টাকা।
প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদাও বেড়েছে। মানুষ এখন, হাতের ছোট্ট মোবাইল ফোনেই ডিএসএলআর ক্যামেরার অভিজ্ঞতা পেতে চায়। তাই ফোনগুলোতে এখন যুক্ত হচ্ছে আলট্রা ওয়াইড, ম্যাক্রো ও ডেপথ সেন্সরের মতো প্রযুক্তি।
ভিভো ওয়াই৫০ ফোনের পেছনে আছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। সহজ করে বললে, ফোনটির পেছনে চারটি ক্যামেরা আছে। রিয়ার ক্যামেরাগুলো হলো-১৩ মেগাপিক্সেলের (এমপি) প্রাইমারি সেন্সর, ৮ এমপির আলট্রা ওয়াইড সেন্সর, ২ এমপির ম্যাক্রো লেন্স এবং ২ এমপির ডেপথ সেন্সর ক্যামেরা।
আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা সেন্সরটি দিয়ে অনেক বড় জায়গা বা অনেক বেশি মানুষ ধারণ করা যাবে। ধরা যাক বিশাল পাহাড়সহ সমুদ্র তীর বা কনসার্টে আসা অগণিত মানুষ। ঠিক উল্টো কাজটিই করবে ওয়াই৫০ এর ম্যাক্রো লেন্স ক্যামেরা। ম্যাক্রো লেন্স দিয়ে অনেক ক্ষুদ্র বস্তুর স্পষ্ট ছবি তোলা যাবে। এ ছাড়া ফোনটিতে একটি ডেপথ সেন্সর ক্যামেরা রয়েছে- যা দিয়ে পোর্ট্রডে মোডে ছবি তোলা যাবে। অর্থাৎ ছবির বিষয়বস্তুকে চিহ্নিত করে অন্যগুলোকে ব্লার বা ঝাপসা করতে সাহায্য করে ডেপথ সেন্সর ক্যামেরা।
এ ছাড়া ভিভো ওয়াই৫০ এর সেলফি ক্যামেরায় আছে ১৬ এমপির হাই ডাইনামিক রেঞ্জ (এইচডিআর) ক্যামেরা সেন্সর। এইচডিআর ক্যামেরা সেন্সর বিষয়বস্তুর কম আলো ও বেশি আলোর মধ্যে সামঞ্জস্য করে একটি ভালো ছবি তুলতে সাহায্য করে।
ভিভো ওয়াই৫০ স্মার্টফোনে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ এর বড় ব্যাটারি। পাশাপাশি ফোনটিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৬৫ এসওসি এর প্রসেসর। ফলে ফোনটি দিয়ে টানা কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। এক চার্জেই গেমস খেলা, ভিডিও দেখা বা মুভি দেখা যাবে দীর্ঘ সময় ধরে। চার্জও হবে খুব দ্রুত সময়ে। কেননা শক্তিশালী একটি চার্জার ফোনটির সঙ্গেই দেওয়া থাকে।
ওয়াই সিরিজে এইবারই প্রথম ৬ দশমিক ৫৩ ইঞ্চির আইভিউ ডিসপ্লে যোগ করেছে ভিভো। এর রেজ্যুলোশন ১০৮০গুণ২৪০০ পিক্সেল। এছাড়াও ভিভো ওয়াই৫০ এর ডিসপ্লেতে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
ভিভো ওয়াই ৫০ ফোনে টাইপ-সি পোর্ট রয়েছে। এ ছাড়াও হেডফোন জ্যাক, মাইক্রোফোন, স্পিকার গ্রিল রয়েছে। ফোনটিতে তিন দশমিক ৫ মিলিমিটারের একটি অডিও জ্যাক রয়েছে।
ভিভো ওয়াই৫০ ফোনের ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ অনেক বেশি অ্যাপ ও স্মৃতি ধারণ করতে পারে। ফলে শুধু দৈনন্দিন কাজই না, অফিসের যোগাযোগসহ কাজগুলো সহজ করে তুলবে এই ফোন। তাছাড়া, বড় ডিসপ্লে থাকায় মুভি দেখা ও গেমস খেলা এই ফোনে আরামদায়ক। ব্যাটারি সুবিধার কারণে ভিডিও দেখার সময় চার্জ শেষ হয়ে যাবার ঝুঁকি নেই। আর কোনো ধরনের ফ্রেম ড্রপ ইস্যু ছাড়াই গেমস খেলা যায় ভিভো ওয়াই৫০ ফোনে।
ভিভো বলছে এই সময়টাকে মাথায় রেখেই এতগুলো ফিচারসহ সাধ্যের মধ্যে বাজারে আনা হয়েছে ভিভো ওয়াই৫০ ফোনটি। তাই এখন যারা ফোন কেনার কথা ভাবছেন- তারা ব্যাটারি সুবিধা, ক্যামেরা ও ডিসপ্লের জন্যে ভিভো ওয়াই৫০ ফোনটি কিনতে পারেন।