করোনাভাইরাস ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী চলছে নানান উদ্ভাবন। লকডাউন ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করে এই মহামারি ঠেকানোর চেষ্টা করছে ইজরায়েল। তারা একটি অ্যাপ উদ্ভাবন করেছে। যেই অ্যাপটি ব্যবহার করলে আশেপাশ দিয়ে করোনা রুটি হেঁটে গেলে জানান দেবে অ্যাপ।
ইসরায়েলে প্রথম সংক্রমিতের খবর আসে ২১ ফেব্রুয়ারি। তিনি জাপান থেকে এখানে এসেছিলেন। তবে সংক্রমিতের সংখ্যা যত বেড়েছে, ইসরায়েল ততই বহির্বিশ্ব থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে। ইসরায়েলে যখন সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০, তখন বিদেশ থেকে আসা সকলের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়। ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারী ঘোষণা করার পরই ইসরায়েল আরও কড়া নিয়মকানুন জারি করে এবং মার্চের মধ্যে এ সেদেশেও লকডাউনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়।
তবে লকডাউন ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করে এই মহামারীর মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। কেমন সেই প্রযুক্তি? ১৪ মার্চ ইসরায়েল সরকার ‘ট্র্যাক ভাইরাস’ নামে একটি অ্যাপের কথা ঘোষণা করে, যেটাতে সংক্রমিত ব্যক্তিদের অবস্থান দেখানো হবে। এই অ্যাপ যেকোনও ইসরায়েলি তার মোবাইল ফোনে রাখতে পারেন। অ্যাপটি ‘ইনস্টল’ করার সঙ্গে সঙ্গে ফোন ব্যবহারকারীর গতিবিধির উপরে নজর রাখা হবে। এই ব্যক্তি যদি নিজের অজান্তে কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির আশপাশে আসেন তা হলে তখনই তাকে সতর্ক বার্তা এবং কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।
এই ধরনের প্রযুক্তির সাহায্যেই বিভিন্ন দেশ আততায়ীদের ফোন ট্র্যাক করে ও তাদের শ্রীঘরে পাঠায়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে এখানে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ট্র্যাক করে তাদের সংক্রমণ ধরা পড়ার আগের দুই সপ্তাহ ধরে তারা যে সমস্ত মানুষের সংস্পর্শে এসেছিল তাদের খুঁজে বার করা হচ্ছে এবং তাঁদের কোয়রেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং বিরোধীরা এই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হলেও আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য এই প্রযুক্তি যথেষ্ট কাজে দিয়েছে। ১৭ মার্চ থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর সাহায্যে এক দিনে ৪০০ জনকে কোয়রেন্টিন করা হয়েছে।