দেশের এমন দুর্যোগে এগিয়ে এসেছে নিউজার্সি ভিত্তিক গেমিং কম্পিউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেইনগিয়ার। তারা আমেরিকার মেইনগিয়ার বানাচ্ছে কম্পিউটারের বদলে দ্রুতো চিকিৎসা সামগ্রী তৈরি করবেন। বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা আতঙ্ক। তবে এই ভাইরাসের জেরে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা। এরই মধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ পেরিয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও মেডিক্যাল স্টাফরা। হাসপাতালে ঠাঁই নেই। দেখা দিয়েছে ভেন্টিলেটর ও জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র ঘাটতি।
মেইনগিয়ার আজ ঘোষণা করেছে যে তারা কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাসপাতালকে সহায়তা করার জন্য জরুরি ভেন্টিলেটর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণত কম্পানিটি খুব সুন্দর গেমিং কম্পিউটার তৈরি করে থাকে।
ভেন্টিলেটর কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এটি মারাত্মকভাবে সংক্রামিত রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করে। ভেন্টিলেটর ছাড়া গুরুতর করোনা রোগীদের প্রাণ বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। হু হু করে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলিতে ভেন্টিলেটর সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি এমন একটি দুর্দান্ত মানবিক উদ্যোগ নিল।
মেইনগিয়ারের তৈরি ভেন্টিলেটরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এলআইভি’। দুর্দান্ত এই ভেন্টিলেটরটি দেখতে দেখতে একটি গেমিং পিসির মতো। যার মধ্যে একটি টিউব আছে। যেমনটা প্রোটোটাইপ একটি আসল গেমিং পিসি ক্ষেত্রে রাখা হয়। এটা রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত করতে সাহায্য করবে।
এলআইভি ভেন্টিলেটরে একটি টাচ-স্ক্রিন ইন্টারফেসের সাথে একটি জটিল অক্সিজেন বিতরণ সিস্টেমকে সংযুক্ত করা থাকবে। এটি মূলত আইসিইউ\’তে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা রোগীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এক দশমিক ৫ সেকেন্ডের মধ্য অক্সিজেন সরবরাহ শুরু করবে।
এফডিএর অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা সত্ত্বেও, সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সরবরাহের লক্ষমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এজন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে কথাও বলছে প্রতিষ্ঠানটি।