দেশে সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিনে উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের প্রধান শহর সিলেটের রাস্তায় আরও কঠোর ছিল পুলিশ। রাস্তায় বের হওয়া অটোরিকশা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি ও রিকশা আটকে মামলা দিয়েছে দিনভর। মামলা নিয়ে পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায়ও জড়ান অনেক অটোরিকশা ও মোটর সাইকেল চালক। কিন্তু রেহাই মিলেনি মামলা থেকে।
কঠোর লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় নামায় রিকশা চালকদেরও পেতে হয়েছে শাস্তি। ঘণ্টাখানেক আটকে রেখে পরে চাকার হাওয়া ছেড়ে রিকশা ফেরত দিয়েছে পুলিশ।
শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় গেল দু’দিন সিলেট নগরীতে যানবাহন চলাচল ছিল অনেকটা কম। রবিবার থেকে ব্যাংক, আদালত ও সীমিত পরিসরে কিছু সংখ্যক অফিস খোলায় সকাল থেকে নগরীতে যানবাহন চলাচল বাড়ে। সিএনজি অটোরিকশা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার ও রিকশা নিয়ে অনেকেই রাস্তায় বের হয়। কিন্তু খুব বেশি সময় রাস্তায় স্বস্তিতে থাকতে পারেননি তারা।
দুপুর ১২টার দিক থেকে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা ও আম্বরখানাসহ বিভিন্ন স্থানে কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশ। রিকশাসহ সবধরনের যানবাহন আটকে কাগজপত্র ও মুভমেন্ট পাস দেখা শুরু করে। এসময় কাগজপত্র ও পাস দেখাতে ব্যর্থ হওয়াদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয় পুলিশ।
এনিয়ে যানবাহনের মালিকদের সাথে বাকবিতণ্ডাও হয়। কিন্তু পুলিশ তাদের অবস্থানে ছিল অনড়। এদিকে, পুলিশের কঠোর অবস্থান থেকে রেহাই পাননি রিকশা চালকরাও। লকডাউনের সময় রাস্তায় বের হওয়ার অপরাধে কোর্ট পয়েন্টে অর্ধশতাধিক রিকশা আটক করে পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা পর চালকদের অনুনয়-বিনয়ে চাকার হাওয়া ছেড়ে রিকশা ফেরত দেয়া হয়।
লকডাউনের পঞ্চম দিনে সিলেট নগরীতে মাঠে নামে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন ও যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জরিমানা আদায় করেন আদালতের বিচারক। প্রশাসনের কঠোরতার কারণে বেলা ২টার পর থেকে সিলেট নগরীতে কমে যায় যানবাহনের সংখ্যা। জন চলাচলও সীমিত হয়ে পড়ে।