মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় কয়েকটি স্থানে বনের টিলা কেটে বাড়িঘর নির্মাণ, মাটি বিক্রি, কৃষিজমি তৈরি করা হচ্ছে। বনের টিলা ঘেষা ব্যক্তিগত এসব পাহাড়ি টিলা কেটে নিশ্চিহ্ন করছেন স্থানীয়রা। টিলা অবাধে কাটায় পরিবেশের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন মনে করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাদে উবাহাটা, মধ্য কালাছড়া, বড়চেগ গ্রাম, সরইবাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক টিলা কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে তারা টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করছেন। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা থাকায় স্থানীয়রা এসব উঁচু উঁচু টিলা কেটে বাড়িঘর নির্মাণ, মাটি বিক্রি, কৃষিজমি তৈরি ও মাটি দিয়ে পুকুর ভরাট করছেন। তবে নিজস্ব সম্পত্তি হলেও টিলাকাটার বিষয়ে প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজনবোধ মনে করছেন না। বাদে উবাহাটা গ্রামের দ্বিন ইসলাম, আব্দুল মালিক, ইব্রাহিম মিয়া, মধ্যকালাছড়ার আব্দুর রশীদ ব্যক্তিগত কাজে ও সরইবাড়ি এলাকার কয়েকটি স্থানে টিলা কাটা চলছে। বিগত কয়েক মাস আগে টিলা কাটতে গিয়ে করিমবাজারের টিলার মাটি ধসে জলিকা নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, এসব এলাকা কিছুটা দুর্গম ও আড়ালে থাকায় প্রশাসনের নজর থাকে না। বাহির থেকে কেউ আসলে টিলা কাটার দৃশ্য দেখতে পান। এই টিলাগুলো প্রাকৃতিকভাবে উঁচু মানের রয়েছে। নানা উচ্চতার অসংখ্য টিলা সমতলে পরিণত হয়েছে। টিলাগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ্য দিবালোকে কেটে ফেলা হলেও জনপ্রতিনিধিসহ কারো মাথা ব্যাথা নেই। ফলে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির স্থল হিসাবে পরিণত হচ্ছে।
তবে টিলা কাটার সাথে জড়িত স্থানীয়দের দাবি, এসব টিলা তাদের নিজস্ব সম্পত্তি থাকায় নিজেদের প্রয়োজনে কেটে ফেলছেন। এতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী জানান, খবরটি জেনেছি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।