লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজবে বিভ্রান্ত গোটা দেশ। সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়কারী খুচরা ও পাইকারি বাজারে ভিড় বেড়ে যায়। এমন সুযোগে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী কয়েক গুণ বেশি দামে লবণ বিক্রি শুরু করেন। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকার লবণ ৪০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রির ঘটনাও ঘটে।
এমন খবরে সিলেট জেলা প্রশাসকের নির্দেশে রাত নয়টার দিকে মাঠে নামেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন্ত ব্যানার্জি ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। অভিযানে সহযোগিতা করে সিলেট নগর পুলিশ। নগরের পাইকারি বাজার কালীঘাটে ক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করায় মেসার্স শিমুল স্টোরকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে লবণ পরিবহন করা তিনটি ঠেলাগাড়িতে থাকা প্রায় ৬০০ কেজি লবণের মালিক পাওয়া না যাওয়ায় জব্দ করা হয়।
সিলেট নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকার মুবিন স্টোরের পরিচালক জালাল আহমদ জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় ২০ কেজি লবণ বিক্রি করেছেন। কেজিপ্রতি কত টাকায় বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে তিনি তা বলতে চাননি।
নগরের মণিপুরী রাজবাড়ী বাসিন্দা সুমিত দেব বলেন, ‘কেজিতে অতিরিক্ত ১০ টাকায় ৪ কেজি লবণ খুচরা দোকান থেকে কিনেছি।’ লবণের মূল্যবৃদ্ধির খবর কোথা থেকে পেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, লোকজন বলাবলি করছিল লবণের দাম বেড়েছে।
সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন্ত ব্যানার্জি বলেন, সিলেটের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজব ছড়ানো হয়েছিল। গুজব ঠেকাতে মাঠে নামেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করার দায়ে ভোক্তা অধিকার আইনে একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও লবণের মালিক পাওয়া না যাওয়ায় প্রায় ৬০০ কেজি জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা লবণগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে।
:প্রথম আলো