একটি প্রীতি ম্যাচে এত উত্তেজনার কারণ কী? প্রথমার্ধে ধারাভাষ্যকারদের আলোচনার বিষয় ছিল এটাই। এরকম ম্যাচে যেখানে খেলোয়াড়েরা ইনজুরিমুক্ত থাকার চেষ্টা করেন সেখানে কি না প্রথমার্ধে দুই প্রান্তে ২৮ টি ফাউল! ম্যাচটিতে দুই দলের খেলোয়াড়দের একাধিক হলুদ কার্ড দেখিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে রেফারিকে।
ফাউলের পাশাপাশি মাথাগরম করে ধাক্কাধাক্কির মত কাণ্ডও ঘটিয়েছেন খেলোয়াড়েরা। তবে সব ছাপিয়ে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে একমাত্র গোলই ভাগ্য নির্ধারণ করে ম্যাচের।
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কোলানি তার দলকে ৪-৪-২ ফর্মেশনে মাঠে নামান। বেশিরভাগই নতুন মুখ। আর স্বাগতিক মরক্কো খেলতে নামে ৩-৪-২-১ ফর্মেশনে। তবে ম্যাচজুড়ে আসল দাপট ছিল বাতাসের। ডেডবল স্থির বসিয়ে ফ্রিকিক নিতে হিমশিম খেতে হয়েছে খেলোয়াড়দের। অনেকসময়ই দেখা গেছে বাতাসের কারণে বলের গতিপথও পরিবর্তন হয়েছে।
ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিট খেলা না হতেই কার্ডের ব্যবহার করতে হয় রেফারিকে। মরক্কোর বেলহান্দা দেখেন প্রথম কার্ড। ম্যাচের ১১ মিনিটে দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন আর্জেন্টিনার দিবালারা। কিন্ত পেরেইরা অফসাইডের ফাঁদে পড়ায় গোল হয়নি। ১৩ মিনিটে মরক্কোর বুতাইবের শট রুখে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এন্দ্রেদা। প্রথমার্ধে ফাউলের পর ফাউল যেমন হয়েছে, দুই দল সুযোগও সৃষ্টি করেছে একাধিক। তবে একক আধিপত্য রাখতে পারেনি কোনো দল।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে মরক্কোর বুতাইবকে সতর্ক করে দিতে হলুদ কার্ডের ব্যবহার করতে হয়েছে রেফারিকে। আবারও ম্যাচের ৪২ ও ৪৪ মিনিটে পরপর দুইবার হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং নিতে লড়াই করেছে। ৭৯ মিনিটে পাওলো দিবালাকে তুলে লো সেলসোকে মাঠে নামান লিওনেল স্কোলানি। লিওনেল মেসি না খেলায় এই ম্যাচে কিছু করে দেখানোর সুযোগ ছিলো জুভেন্টাস তারকার। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা ছড়াতে পারেননি মাঠে।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে একমাত্র গোলটি আসে আর্জেন্টিনার পক্ষে। বদলি নামা কোররেয়া ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান। গোল শোধ করতে মরিয়া মরক্কো শেষ কয়েক মিনিট আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে আক্রমণ চালায়। শেষ সময়ে মরক্কোর আব্দেল হামিদের হেড ঠেকিয়ে দেন বদলি নামা গোলরক্ষক হুয়ান মুসো। আর কোনো গোল না হওয়ার এক গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।