নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সকাল আটটা নাগাদ হওয়া ওই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তার মধ্যে দু\’জন বাংলাদেশিও আছেন। বাংলাদেশ দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার ওই মসজিদে অনুশীলন শেষে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। মসজিদের প্রায় কাছে আসলে এক নারী তাদের ওখানে না যেতে সতর্ক করেন। পরে ওই ঘটনায় বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের শেষ টেস্ট বাতিল করা হয়েছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দেশে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, \’নিউজিল্যান্ডে এখন খেলার কোন পরিস্থিতিই নেই। তাই দুই বোর্ড আলাপ করে আমরা ম্যাচ বাতিল করেছি। এ ধরণের ঘটনা যে কোন দেশেই ঘটতে পারে। কিন্তু আমরা অন্য দেশকে যে ধরণের নিরপত্তা দেয়। আমরা কিন্তু অন্য দেশে এমন নিরাপত্তা পায়না। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে। আমার মনে হয় প্রত্যেক দেশের এ ব্যাপারে এখন আরও সতর্ক হতে হবে।\’
বাংলাদেশ দল যখন নামাজে যাচ্ছিল কোন নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না তাদের সঙ্গে। এ নিয়ে বিসিবি কর্তা বলেন, \’নামাজে যাওয়ার সময় দলের সঙ্গে কোন সিকিউরিটি ছিল না। এটা এখন খতিয়ে দেখতে হবে। সন্ত্রাসীরা আগে থেকে জানাতো কিনা কিংবা তাদের জানেো হয়েছে কিনা যে, বাংলাদেশের দলের ক্রিকেটারা ওই সময় নামাজে যাবে।\’
তিনি বলেন, \’ঘটনার পরে পুলিশ আসতে এতো দেরি করবে এটা তো হতে পারে না। এমন ঘটনা ঘটতে পারে এই দেশগুলো হয়তো ভাবেই না। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন থেকে সতর্ক। বাংলাদেশ দল এখন যে দেশেই খেলতে যাক না কেনো, আমাদের দাবি মতো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা দিতে পারবে তাদের ওখানেই খেলতে যাবো। তা ছাড়া আমরা খেলতে যেতে পারবো না।\’
এছাড়া তিনি জানান, দলের সঙ্গে থাকা সকলে নিরাপদে আছেন। তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনায় চেষ্টা চলছে। দলের সবাই এক সঙ্গে ছিল না। সবাইকে পরে নিরাপদে হোটেলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কিছু সাংবাদিক স্টেডিয়ামের মধ্যে আটকা পড়েন। তখন বিসিবি থেকে নিউজিল্যান্ড বোর্ডকে জানানো হয়। তিনি নিউজিল্যান্ড বোর্ডের সঙ্গে আলাপ করে ২০ মিনিট পরে তাদের নিরাপদে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।