শুরুতেই বলে দেওয়া যাক, ওয়েলিংটন টেস্টে মাত্র ২১১ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। কিন্তু দিনের শুরুটা এমন বার্তা দেয়নি। তামিম ইকবাল এবং সাদমান ইসলাম মিলে দারুণ এক সূচনা এনে দিয়েছিলেন। ওপেনিং জুটিতে এসেছিল ৭৫ রান। দলীয় ১১৯ রান থেকে পরবর্তী ১৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোয় শুরু হয় ছন্দপতন। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার খেলা। এর মাঝেই নতুন এক রেক্ড গড়েছেন তামিম-সাদমান।
তামিম ইকবাল বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। নবীন সাদমান তাকে ভালোই সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডে। দুই ওপেনারের ব্যাটিং দেখে মনে হতেই পারে নিউজিল্যান্ড সফর তাদের দুজনেরই বেশ পছন্দের। তাদের ৭৫ রানের জুটিতে ছিল ধারাবাহিকতার প্রতিচ্ছবি। এই নিয়ে চলতি সফরে নিউজিল্যান্ড সফরে এ নিয়ে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়লেন তামিম-সাদমান। যা গত ১৯ বছরের মধ্যে বিশ্বের বাঘা বাঘা দলগুলোর ব্যাটসম্যানরা করে দেখাতে পারেনি!
হ্যাঁ, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড যে বাঘের মতো ভয়ংকর সেটা সবাই জানে। এখানকার কন্ডিশনও প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য বেশ কঠিন। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভারত, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলোর ওপেনিং জুটির ব্যাটিং গড় ৩৪ এর নিচে। শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটির গড় ৩৫। এই জায়গায় এগিয়ে আছেন তামিম-সাদমান। আজকের আগে হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৫৭ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৮ রানের জুটি গড়েছিলেন দুজন।
২০০০ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সফরকারি দলের কোনো ওপেনিং জুটি-ই টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান তুলতে পারেনি। তাদের আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টানা তিন ইনিংসে সফরকারি দলের হয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েছিলেন হার্শেল গিবস ও গ্যারি কারস্টেন। আর বাংলাদেশের হয়ে ২০১৭ সালের মার্চে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম-সৌম্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই সিরিজে ১১৮, ৬৭ ও ৯৫ রানের জুটি গড়েছিলেন এই দুজন।