শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় পিএসজিকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ম‌্যানইউ

আগের দিন ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে ২২ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আয়াক্স। এটাই সম্ভবত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ভরসা দিয়েছে। জাগিয়েও তুলেছে। তারা পারলে ম্যানইউ কেন পারবে না? এই মর্মে বিশ্বাস রেখে প্যারিসে ৩-১ গোলে পিএসজিকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলে হয়েছে সমতা। কিন্তু অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে পিএসজিকে হটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে ম্যানইউ।\’

এর আগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ম্যানইউয়ের মাঠ থেকে ২-০ গোলে জিতে ফেরে পিএসজি। কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা তাই তাদের দেওয়াই ছিল। শেষ আটের মঞ্চে পিএসজি দলে নেইমার-কাভানি ফিরবেন সেই আশাও দেখছিল ভক্তরা। কিন্তু ম্যানইউ তাদের মাঠে এসে এক গোল বেশি করেছে। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধায় তাই শেষ আটে ওলে গুনার সোলসকায়েরে শিষ্যরা। 

\"\"

মাঠে বড় গড়ানোর শুরুতেই রং চড়তে শুরু করে এ ম্যাচে। আর অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে শেষ হয় শেষ আটের ফয়সালা। প্রথমার্ধের দুই মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে গোল করেন ম্যানইউ স্ট্রাইকার লুকাকু। ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় সেই গোল শোধ দেয় পিএসজি। শুরুতে দারুণ খেলা পিএসজি ৩০ মিনিটে আবার গোল খাই গোলরক্ষক বুফনের ভুলে। আবার সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন লুকাকু।

ওই গোলেই শেষ হতে যাচ্ছিল ম্যাচ। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যানইউকে আটকে রেখেছিল পিএসজি। এমনকি ম্যানইউও গোল করতে দেয়নি লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু ম্যাচের চিত্রনাট্য লেখা ছিল শেষ সময়ের রোমাঞ্চে। আর তাই হ্যান্ডবলের সুবাদে ম্যাচের ৯১ মিনিটে পেনাল্টি পায় ম্যানইউ। রাশফোর্ড গোল করে দলকে নিয়ে যান চ্যাম্পিয়নস লিগের কেয়ার্টার ফাইনালে।

\"\"

দুর্দান্ত এই জয়ে ম্যানইউ ইতিহাসে নাম তুলল। দলের পাকাপাকি কোচ হিসেবে সোলসকায়ের নিজের নাম আর পোক্ত করল। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে কোন দল ঘরের মাঠে ২-০ বা তার বেশি গোলে হেরে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি। এবার ম্যানইউ তা করে দেখাল। অথচ প্রথমার্ধে ম্যাচরে ৭৬ ভাগ বল ছিল টমাস টাখেলের শিষ্যদের পায়ে। 

Scroll to Top