হ্যামিল্টন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে সফরকারী বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় চারদিনেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। তবে এর মাঝেও ছিল কিছু আলোর ঝলকানি।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ লড়াই করেছেন সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই পেয়েছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা। এরপরও এমন বাজে হারের পেছনে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন টাইগার দলপতি।
ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, কাল ফাস্ট আওয়ারে ব্যাটিং করার সময় চিন্তা করছিলাম সহজেই যেন উইকেটটা না দেই। কেননা ওই সময়টুকু সার্ভাইভ করতে পারলে এটলিস্ট কালকে ভালো খেলতে পারবো। আমার মনে হয় ওরাও ডিফরেন্ট ফেজে ভালো বোলিং করেছে।
তিনি বলেন, ওরা বাউন্সগুলো ট্রাই করছিল। আবার যদি আপনি সাউদি ও বোল্টের কথা চিন্তা করেন ওরা নতুন বলে সুই করানোর চেষ্টা করছিল। এটাই আসলে ওদের সাধারণ প্রক্রিয়া। আর বলটা একটু পুরোনো হয়ে গেলে ওরা শর্ট মারা চেষ্টা করে। তো হোপফুলি এটা আমাদের ব্যাটসম্যানদের একটা আইডিয়া হয়ে গেছে। সেকেন্ড টেস্টে যেনো আমরা এগুলো চিন্তা করে ব্যাটিং করতে পারি।
প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের কারণেই এমন হার বলে মনে করেন অধিনায়ক। তবে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়েছেন অভিষেক সেঞ্চুরি পাওয়া সৌম্যকে।
রিয়াদ বলেন, ঐ সময়টাতে সৌম্যর ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে খুব ফ্লুয়েন্টলি ব্যাটিং করছিল। তার চান্সগুলো সে কাজে লাগাচ্ছিল। মনে করেন একজন বোলার ভালো বাউন্সি মারছে বা ভালো লাইন লেন্থে বোলিং করছে, একই সময় আপনি ধরেন ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চার-পাঁচ রান তুলছেন, তখন এটি বোলারের জন্য হতাশার। ঐ কাজটাই সৌম্য খুব ভালো করছিল। আমাদের ব্যাটিং পার্টনারশিপটা ভালোই যাচ্ছিল। তবে আমার মনে হয় আমাদের প্রথম ইনিংসটা আমরা সুযোগ হারিয়েছি।
টাইগার অধিনায়ক বলেন, তামিম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। একটা সময় তামিমকে যখন বাউন্সার মারছিল, আমার মনে হয় আমাদের দলে তামিম সবচেয়ে ভালো পুল-বুক খেলে। ও ওই সময়টাতে সার্ভাইভ করে, ওই সময়টা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করেছি নিজে এমনটা করতে পারি কিনা।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, প্রথম ইনিংসে আরেকজন যদি কেউ ইনিংস বড় করতে পারতো, তবে এখন হয়তো গল্পটা অন্যরকম হতো। তবে আশা করি ব্যাটসম্যানদের জন্য আমরা পজিটিভ কিছু নিয়ে যেতে পারছি দ্বিতীয় টেস্টে।