৯৪ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ম্যাচটার দৈর্ঘ্য আরও কম হতে পারতো। কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুনের বুক চিতিয়ে উইকেটে পড়ে থাকা ও শেষ দিকে মিরাজ আর সাইফুদ্দিনদের প্রতিরোধে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কিঞ্চিত লজ্জা এড়ালো সফরকারী বাংলাদেশ। তবে ম্যাচ শেষে ৮ উইকেটের বড় হারের তিক্ততাকেই বরণ করে নিতে হলো মাশরাফি বাহিনীকে। আর তাতে সিরিজেও ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লো বাংলাদেশ।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নেপিয়ারে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে চরম বিধ্বংসের মুখে পড়ে টিম টাইগারস। দলীয় মাত্র ৫ রানে অতিথিদের শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৫ রান করা তামিমকে লাথামের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান। এরপর দলীয় ১৯ রানে ব্যক্তিগত ১ রান করা লিটন দাস হেনসির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন।
একপ্রান্তে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা সৌম্য সরকারকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ মুশফিক আউট হন মাত্র ৫ রান করে। দলীয় স্কোরবোর্ডে তখন ৪২ রান। ঠিক একই সময়ে ২২ বলে ৩০ রান করা সৌম্যকে ফেরান হেনরি। ২৯ বলে ১৩ রান করে ফার্গুসনের শিকার হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে জায়গা করে নেয়া সাব্বির রহমানও সুবিধা করতে পারেননি। ২০ বলে ১৩ রান করে সান্টনারের বলে আউট হন তিনি।
দলীয় ৯৪ রানে এই ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর রানটা দেড়শো পার হবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা জেগেছিল টাইগারভক্তদের মনে। কিন্তু প্রতিজ্ঞা দৃঢ় রেখে দলকে সম্মানজনক একটা স্কোর অন্তত এনে দিলেন মিঠুন, মিরাজ ও সাইফুদ্দিন। মিঠুন ৬০, সাইফুদ্দিন ৪১ ও মিরাজ ২৬ রান করেন। ৭ বল বাকি থাকতেই ২৩২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি।
নিজেদের মাটিতে অনেকটা অপ্রতিরোধ্য নিউজিল্যান্ডের সামনে ২৩৩ রানের লক্ষ্যটা আহামরি কিছু ছিল না। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে সেটাই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন মার্টিন গাপটিল। ১১৬ বলে ১১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ডানহাতি কিউই ব্যাটসম্যান।
এর আগে দলীয় ১০৩ রানে ৮০ বলে ৫৩ রান করা হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ইনিংসটা লম্বা করতে দেননি মাহমুদউল্লাহ। ২২ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এরপর আর কোনও উইকেট হারাতে হয়নি কিউইদের। ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন গাপটিল ও রস টেইলর (৪৫*)।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস