সিলেটপর্ব পেরিয়ে আবারও ঢাকায় বিপিএল। এবারের ঢাকাপর্বে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর রাজশাহী কিংস।
ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। অর্থাৎ রাজশাহী কিংস প্রথমে ব্যাটিং করবে।
গত পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই দশের কোটা পার হতে পারেননি। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে সেই ইভান্সই দেখালেন ব্যাটিং ঝলক। তার ৬১ বলের বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরিতে ভর করেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছে রাজশাহী কিংস।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভার ২ বলে মাত্র ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি রাজশাহী কিংসের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শাহরিয়ার নাফীস (৫) ফেরেন মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হয়ে। ওয়ান ডাউনে নেমে আরও একবার ব্যর্থ রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার তিনি শূন্যতে সাজঘরের পথ ধরেছেন ডসনের শিকার হয়ে।
ডসনের দ্বিতীয় শিকার মার্শাল আইয়ুব। ২ রানে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কুমিল্লার এই স্পিনার। ৬ ওভার পার হতেই ২৮ রানের মধ্যে তখন ৩ উইকেট নেই রাজশাহী কিংসের।
দলের এই বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন দুই বিদেশি লরি ইভান্স আর রায়ান টেন ডেসকাট। চতুর্থ উইকেটে দাঁড়িয়ে তারা দলকে এগিয়ে নেন একদম শেষ পর্যন্ত। প্রায় ১৪ ওভারের জুটিতে রাজশাহীকে ১৪৮ রান তুলে দিয়েছেন এই যুগল। রানরেট ছিল ১০.৬৯!
দুর্দান্ত ইভান্সের ব্যাটে চড়েই এবারের বিপিএল পেয়েছে প্রথম সেঞ্চুরির দেখাও। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ৯ চার আর ৬ ছক্কায় ১০৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ডেসকাট। ৪১ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করেন তিনি।