সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। দলের কোচ মারুফুল ইসলাম এই শিরোপা উৎসর্গ করলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জীবন দেওয়া ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে।
বুধবার কাঠমুন্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।
ভীষণ আধিপত্য দেখিয়ে শিরোপা জেতার পর সম্প্রচারকদের কাছে মারুফুল বলেন, ‘আমি এই শিরোপা উৎসর্গ করতে চাই আমাদের নায়কদের, যারা গত মাসে ও এই মাসে আমাদের নতুন বাংলাদেশের জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। আমি সব সময় চেয়েছি এই শিরোপা ও এই সাফল্য তাদের জন্য উৎসর্গ করতে।’
বাংলাদেশের পক্ষে জোড়া গোল করেন মিরাজুল ইসলাম। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেন রাব্বি হোসেন রাহুল ও পিয়াস আহমেদ নোভা। নেপালের হয়ে ব্যবধান কমান সমীর তামাং।
প্রথমার্ধের শেষদিকে মিরাজুলের গোলে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা এগিয়ে যাওয়ার আগে ম্যাচে দাপট দেখাচ্ছিল নেপালই। শুরুতে বাংলাদেশের কিছুটা খোলসে আবদ্ধ থাকার ব্যাখা দেন কোচ, ‘আজকের ম্যাচের আগে আমাদের পরিকল্পনা ছিল শুরুটা ধীরে করার। কারণ, গত পরশুই আমরা (ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে) খেলেছি। আমরা কেবল একদিন বিশ্রাম পেয়েছি, নেপাল পেয়েছে দুদিন। তাই যদি আমরা প্রথম থেকেই প্রেস করতাম, তাহলে নিজেদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যেত।’
৫৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিরাজুলই। এরপর ম্যাচের লাগাম মুঠোয় নিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ৭০তম মিনিটে বক্সে মিরাজুলের পাসে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে নিশানা ভেদ করেন রাহুল। ১০ মিনিট পর নেপাল ব্যবধান কমায় সমীরের কল্যাণে। তবে স্বাগতিকদের ফেরার আশা পূর্ণতা পায়নি। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বড় জয় নিশ্চিত করেন নোভা।
সাফল্যের রহস্য নিয়ে দেশের ঘরোয়া ফুটবলের প্রখ্যাত কোচ মারুফুলের ভাষ্য, ‘আমার শিষ্যদের আমি সব সময় বলি, তারা ভালো দল, অভিজ্ঞ দল। তাদেরকে সব সময় স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে বলি। এই (দক্ষিণ এশিয়া) অঞ্চলের সমস্যা হলো, দলগুলো স্বাভাবিক ফুটবল খেলে না। যদি কোনো দল স্বাভাবিক কায়দায় খেলে, অর্থাৎ পাস দিতে দিতে সামনে এগিয়ে যায়, তাহলে তারা সাফল্য পাবেই।’