নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠানরত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। ললিতপুরে আনফা কমপ্লেক্সে বেলা পৌনে ৩টায় খেলা শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টে নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে খেলে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আবার সেই নেপালকে ফাইনালে পেয়েছেন কোচ মারুফুল হকের দল।
এবার ফাইনাল নিয়ে ভিন্ন চোখ। কারণ নেপালের মাঠে খেলা, সেখানে বাংলাদেশের জন্য কঠিন লড়াই হবে। দর্শক থাকবে নেপালিরা। গতকাল কোচ মারুফুল হক সেটাই বুঝিয়েছেন তার দলের খেলোয়াড়দের। ‘আমি খেলোয়াড়দেরকে বলেছি সবকিছুর বিরুদ্ধে খেলতে হবে। মাঠ, প্রতিপক্ষ এবং পরিবেশ থাকবে তোমাদের বিরুদ্ধে। এটা মাথায় রেখে খেলতে হবে। এটা শুধু একটা ফাইনাল নয়। একই সঙ্গে বলতে হয় এটি কঠিন ফাইনাল। তৃতীয় কোনো দেশে হচ্ছে না। এখানে রেফারি কোথাকার সেটা নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু নেই। নিজ নিজ খেলার দিকে মন দিতে হবে।’- সোজাসাপটা কথা কোচ মারুফুল হকের।
ভারতকে বিদায় করতে বেক পেতে হয়েছে। গোল করে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ গোল হজম করেছিল, ১-১। টাইব্রেকিংয়ে ৪-৩ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ। ৯০ মিনিটের খেলায় বাংলাদেশের জন্য যেটি ক্ষতি হয়েছে দলের স্টপার কামাচাই মারমা দুই হলুদ কার্ডে লালকার্ড পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন।
এই ডিফেন্ডার না থাকায় দলের জন্য বড় ক্ষতি হলেও এটি পূরণ করতে কোচ বিকল্প ডিফেন্ডার খুঁজছেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেননি। কোচ মারুফুল হক নেপাল থেকে জানিয়েছেন ফাইনাল ম্যাচের আগেই সিদ্ধান্ত নেবেন। শুধু এখানেই নয় গোলপোস্টের নিচেও সমস্যা। দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান শ্রাবণ ভারতের বিপক্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় কোচ মারুফুল হক হাসপাতালে যাওয়ার আগে কাঠমান্ডু হতে জানিয়েছিলেন শ্রাবণ কপালে ব্যথা পেয়েছেন। গতকাল মারুফ জানালেন কপালে না, নাকের পাশে এবং চোখের নিচের হাঁড়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। রাতে হাসপাতালে ছিল শ্রাবণ। আজ (গতকাল) সকালে হোটেলে ফিরেছে।
শ্রাবণ বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক, ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তারা শ্রাবণকে ঢাকায় এসে পুনরায় চিকিৎসা করাবে। আপাতত নেপালে দলের সঙ্গেই থাকবেন শ্রাবণ। শ্রাবণের অনুপস্থিতি দলকে দুশ্চিন্তায় রাখছে কিনা? শ্রাবণের পরিবর্তে ভারতের বিপক্ষে গোলরক্ষক আসিফ খেলেছেন। টাইব্রেকিংয়ে ভারতের দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে জয়ের নায়ক বনে গিয়েছেন বদলি খেলতে নামা আসিফ। এটাই এখন গোলপোস্টের নিচে আস্থা জোগাচ্ছে। কোচ মারুফুল হক বলছেন, ‘হ্যাঁ একদিকে আমার জন্য আস্থা, ওর জন্যও আস্থা।’
আসিফ আজকে ফাইনালে লড়াই করবেন। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয় ২০২২ সালে। এর আগে প্রথম আসর হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৮, এরপর সেটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৯। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছে আগেও। অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে দুই বার ফাইনাল খেলেছে এবং প্রথমে ভারতের কাছে পরে নেপালের বিপক্ষে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। আর কোনো বারই নেপালের বিপক্ষে জয় পায়নি বাংলাদেশ। আজকের ফাইনালে সেই রেকর্ডও গড়ার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে। নেপালকে হারাতে এবার পারবে তো বাংলাদেশ।