অক্টোবরে ঘরের মাঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ। তবে সরকার পতন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এখন আড়ালে। দেশের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। তাই বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্ট হাতছাড়া করতে পারে বাংলাদেশ।
তবে বিশ্বকাপ কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না বাংলাদেশ। প্রয়োজনে জাতিসংঘের দারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বর্তমানে বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। এই চারটি দেশ থেকেই বিশ্বকাপ খেলতে নারী ক্রিকেটারদের বাংলাদেশে সফর করার কথা। চার দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকেই বিশ্বকাপ আয়োজনে বড় বাঁধা হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এই চার দেশকে রাজি করাতেই জাতিসংঘের দারস্থ হতে চান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিনেই গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কিছু দেশের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। তাই আমরা জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ করবো। নিরাপত্তা এবং অবকাঠামো নিয়ে কিছু ইস্যু আছে। আর আমরা এটা নিয়ে প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে আলাপ করব। তিনি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ এবং আশা করি তিনি বিষয়টি সমাধান করতে সক্ষম হবেন।’
এদিকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিশ্চয়তা পাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কাছে চিঠি দিয়েছে বিসিবি। আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। সত্যি বলতে আমরা খুব বেশি লোক দেশে নেই। বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আর মাত্র দুই মাস সময় আছে।’