কোপা জয়ী আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকে রাজসিক সংবর্ধনায় বরণ করে নিলো দেশটির সমর্থকরা। ফাইনাল শেষে দেশে ফিরে এ সংবর্ধনা পেয়েছেন গঞ্জালেজ-ডি মারিয়ারা। তাদের বরণে এজেইজা বিমানবন্দরে রাতভর অপেক্ষা করেন সমর্থকরা। এসময় আকাশী নীল জার্সি পড়ে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে হিরোদের স্বাগত জানান তারা। পরে বিমানবন্দর থেকে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় খেলোয়াড়দের।
রেকর্ড ১৬তম কোপা জিতে দেশের ফিরেছেন মারিয়ারা। তাদের বরণে তাই ছিল না কোন কমতি। বুয়েন্স আয়ার্সের এইজাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফুটবল ফেডারেশন কার্যালয় যেন মানুষের সমুদ্র। চারদিকে হর্ষধ্বণি, দুনিয়ার কাছে নিজেদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও একবার জানান দেয়া।
বিমানবন্দর থেকে এফএ কার্যালয়ে যাওয়ার পথটুকু কম নয়। তবে, গণমানুষের জোয়ারে ভেসে তা যেন মেসিদের কেটে গেলো চোখের পলকে। আকাশী নীল পতাকা আর মশালের আগুনে রাতেই নেমে এলো দিনের ঔজ্জ্ব্যলতা। যাদের অনেকে যেমন ছিলেন মেসিদের বরণে, তেমনি অনেকে এসেছিলেন তাদের ভালোবাসার ফিদেকেও বিদায় জানাতে।
এদিকে, রাত শেষে ভোর হলেও কোপা চ্যাম্পিয়নদের ভালোবাসা জানাতে ভুলেননি আর্জেন্টাইন সাধারণ মানুষ। পত্রিকার প্রথমপাতা গুলো ভরে আছে মেসিদের নায়োকোচিত পারফরম্যান্সের প্রশংসা বাণিতে। জনসাধারণের দাবি, দেশের এই আর্থিক সংকটে যখন মানুষ বেঁচে থাকার শেষ আশাটাও ভুলে যাচ্ছিলো, তখন কোপার এই শিরোপা তাদের নতুন করে বাঁচতে শেখাবে।
মেসিদের বরণ করতে আসা এক সমর্থক বলেন, ‘এ দলটাও আমাদের দেশের মানুষের মতো অনেক লড়াই করেছে। এখন তারা ফল পেতে শুরু করেছে। আমরা খুবই খুশি। আশা করব দেশের সাধারণ মানুষ এখান থেকে নিজেদের উজ্জীবিত করবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
এদিকে আরও এক ভক্ত বলেন, ‘আপনি ডি মারিয়া আর মেসিকে দেখুন, এরা দুজন কত কটুক্তি, কত সমালোচনা সহ্য করেছে। কিন্তু আজ তারাই আমাদের নায়ক। এটাই জীবন, এখানে কোন কিছুই শেষ নয়। আপনি নতুন করে শুরু করুন, কেউ না কেউ আপনার পাশে এসে দাঁড়াবেই।’
তবে দলের সঙ্গে দেশে ফেরেনি বেশকিছু ফুটবলার। তাদের মধ্যে রয়েছেন মেসি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, জুলিয়ান আলভারেজ, নিকোলাস ওতামেন্ডি এবং জেরোনিমো রুল্লি। তারা যুক্তরাষ্ট্রে রয়ে গেছে।