সদ্য সমাপ্ত কোপা আমেরিকা শুরুর আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন আনহেল ডি মারিয়া। কোপায় আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচই হবে তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তাই তো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনও অনেকটা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বরণ করে নেয়। দেয় বিদায়ী উপহার, বিশেষ জার্সি।
এরপর বরাবরের মতো এবারও আর্জেন্টিনার হয়ে ফাইনালে নেমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন ‘মিস্টার ফিদেও’। এদিন কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতে আলবিসেলেস্তেরা। নিজের শেষ ম্যাচে গোল করতে না পারলেও ম্যান অব দ্য ফাইনালের পুরস্কারও ডি মারিয়াই পেলেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে হাইভোল্টেজ এই ফাইনালের উত্তাপ আগে থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল। সেই উত্তাপ-রোমাঞ্চ থেকে উত্তেজনায় পরিণত হয় কলম্বিয়ার উগ্র সমর্থকদের আচরণে। বিনা টিকিটে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে তুলকালাম বাধিয়ে ভেঙে দেয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এরপর দুই দলের সমর্থকদের ছুটোছুটি, উগ্রপন্থীদের ওপর নিরাপত্তাকর্মীদের চড়াও হওয়া মিলিয়ে ম্যাচ শুরু হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর। এরপর দু’দলের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ৯০ মিনিটেও থাকে গোলশূন্য।
সেই ডেডলক ভেঙেছে ম্যাচের ১১২তম মিনিটে প্রথম, একমাত্র ও জয়সূচক গোল। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা লাউতারো মার্টিনেজ নেমেছিলেন বদলি হিসেবে। সেই লাউতারোই ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে এনে দিলেন লিড। দুর্দান্ত এক শটে ভাঙলেন ডেডলক। একমাত্র গোলটিই টুর্নামেন্টের ৪৮তম আসরের ফল নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ ১৬ শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ল আর্জেন্টিনা। জয়ের পর মাঠের বড় স্ক্রিনে নাম ওঠে ডি মারিয়ার। কারণ তাকেই যে ম্যান অব দ্য ফাইনাল ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও কোপা আমেরিকার ফাইনালে তিনি কোনো গোল পাননি, তবে ক্রমাগত আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগকে সামনে থেকে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের আগে ডি মারিয়া আর্জেন্টিনার হয়ে ষষ্ঠ কোনো মেজর টাইটেল জিতেছেন। ২০২২ বিশ্বকাপ, ২০২১ এবং ২০২৪ কোপা আমেরিকা, ২০২২ ফিনালিসিমা, অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০০৮ অলিম্পিকে গোল্ড মেডেল জিতেছেন।