রাজসিক অর্ভথন্যায় মুম্বাইয়ে বরণ করে নেয়া হলো বিশ্বকাপজয়ীদের। লাখো সমর্থকদের উপস্থিতিতে ছাদ খোলা বাসে চেপে, শিরোপা উদযাপন করেন রোহিত-কোহলিরা। নীলের জনসমুদ্র ঠেলে ওয়াংখেড়েতে টিম পৌঁছায় রাত ১০টার কিছুটা আগে। এরপর স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের সামনে শুরু হয় বাকি আনুষ্ঠানিকতা।
তীব্র বৃষ্টি আর জ্যামের কারণে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা তিনেক পর শুরু হয় টিম ইন্ডিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স প্যারেড। নরিমান পয়েন্ট থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দূরত্ব ২ কিলোমিটার হলেও, নীলের সমুদ্র ঠেলে এই পথ পাড়ি দিতে টিম ইন্ডিয়ার লাগে এক ঘণ্টারও বেশি।
অবশ্য এই সময়টাই হয়তো আজীবন মনে রাখবেন রোহিত-কোহলিরা। মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভ পরিণত হয় জনসমুদ্রে। তার মাঝেই চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে বাস এগোয় ধীরে ধীরে। আরাধ্যের বিশ্বকাপ শিরোপা নিয়ে একে একে উদযাপন করেন ক্রিকেটাররা।
প্যারেডে অংশ নেয়া সমর্থকদের সবচেয়ে বেশি উজ্জীবিত করেন দুই সিনিয়র রোহিত-কোহলি। অন্তর্দ্বন্দ্ব কিংবা সম্পর্কের শীতলতার গুঞ্জন থামিয়ে, বাসে দুজনকে দেখা যায় বেশ চনমনে। দ্রাবিড়-হার্দিক-বুমরাহ’রাও ছিলেন উচ্ছ্বসিত। শান্ত থাকাটা-ই তো কঠিন। একপাশে সমুদ্রের গর্জন, অন্যপাশে সমর্থকদের। নীলের যে স্রোত নামে তাতে অংশ নেয় লাখ লাখ ভক্ত।
লাখো মানুষের জনসমুদ্র একটা আরাধ্যের ট্রফি আর চ্যাম্পিয়ন টিম নিয়ে ওয়াংখেড়ে পা রেখে একটা বৃত্ত পূরণ করলো ভারত। ২০১১ সালে এই মাঠেই, নিজেদের শেষ শিরোপা জিতেছিলো মেন ইন ব্লু।
এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বার্বাডোজ থেকে দীর্ঘ ১০৫ ঘণ্টা দেরিতে দেশে ফেরে টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, এরপর আরেকটি ফ্লাইটে মুম্বাই পৌঁছায় মেন ইন ব্লু। সেখানে টিম হোটেলে আরেক দফায় বিশ্বকাপ শিরোপা উদযাপন শেষে, ছাদখোলা বাসে ঐতিহাসিক এই প্যারেডের শুরু হয়।