টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সদ্য শেষ হওয়া আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে নেয় ভারত।
শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টন ওভালে ১৭৬ রান করে শ্বাসরুদ্ধর লড়াইয়ে ৭ রানের জয় পায় ভারত।
প্রোটিয়াদের হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় দল হিসেবে দুটি করে বিশ্বকাপ জয়ের নজির গড়ে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ওয়েস্ট ই্ন্ডিজ ও ইংল্যান্ড দুটি করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নজির গড়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি নজির গড়েছে ভারতয়।
১.এবারের বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচ হারেনি ভারত। গ্রুপপর্বে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য বাতিল হয়। ফাইনাল-সহ বাকি আটটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে ভারত। প্রথম দেশ হিসাবে অপরাজিত থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত।
২. তৃতীয় দেশ হিসাবে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত। এর আগে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুটি করে বিশ্বকাপ জয়ের নজির গড়ে।
৩.ভারতের একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেলেন রোহিত শর্মা। ২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়ন দলের একমাত্র সদস্য হিসাবে এবারের দলে ছিলেন অধিনায়ক রোহিত। এই কৃতিত্ব ভারতের আর কোনও ক্রিকেটারের নেই।
৪. ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের তিনটি বড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন বিরাট কোহলি। ওয়ানডে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও চ্যাম্পিয়ন হলেন কোহলি। ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
৫.ভারতের তৃতীয় অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বকাপ জিতলেন রোহিত। কপিল দেব এবং ধোনির পর তিনি হলেন তৃতীয় অধিনায়ক, যিনি সিনিয়র পর্যায়ে দেশকে বিশ্বসেরা করলেন।
৬. শনিবার বিশ্বের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে ৫০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়েছেন রোহিত। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে পাকিস্তানের বাবর আজমের (৪৮টি ম্যাচে জয়) রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন রোহিত।
৭. এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে অধিনায়ক হিসাবে আটটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেললেন রোহিত। আটটি ফাইনালেই জয় পেলেন অধিনায়ক রোহিত। এমন নজির আর কারও নেই।
৮.দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফাইনালে ভারত করেছে ১৭৬ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে এর আগে কোনও দল এত রান করতে পারেনি। ২০২১ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৭৩ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চের দলের সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন রোহিতেরা।
৯.৩৭ বছরের রোহিত হলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী প্রবীণতম অধিনায়ক। এর আগে আর কোনও অধিনায়ক এই বয়সে দেশকে ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে বিশ্বকাপ জেতার ক্ষেত্রে রোহিত হলেন বিশ্বের দ্বিতীয় প্রবীণতম অধিনায়ক। ১৯৯২ সালে ৩৯ বছর বয়সে অধিনায়ক হিসাবে পাকিস্তানকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ইমরান খান।