অবশেষে ফাইনালের দেখা পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। জায়ান্ট কিলার আফগানিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠেছে তারা। এটি ইতিহাসে প্রথম ঘটালো প্রোটিয়ারা।
ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অফগানিস্তানের দেয়া ৫৭ রানের লক্ষ্য ৯ উইকেট ও ৬৭ বল হাতে রেখেই টপকে যায় এইডেন মার্করামের দল। বারবার সেমিতে গিয়ে বাদ পড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘চোকার্স’ নামে ডাকা হতো। অবশেষে সেই ‘চোকার্স’রা এবার ফাইনালের টিকিট কাটলো।
আফগানদের দেয়া ৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে কোন সমস্যা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। শুরুতে অবশ্য ডি কক’কে হারায় তারা। ফারুকীর বলে বোল্ড হয়ে ৫ রানে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর অধিনায়ক মার্করামকে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান ওপেনার রেজা হেনড্রিক্স। মার্করাম ২১ বলে ২৩ এবং হেনড্রিক্স ২৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর আর কখনও আইসিসির কোন ইভেন্টে ফাইনাল খেলতে পারেনি তারা। তবে অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছে প্রোটিয়ারা।
এর আগে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তবে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে প্রোটিয়া বোলাররা। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলা গুরবাজ ম্যাচের প্রথম ওভারেই জেনসেনের বলে হেন্ডরিক্সকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তৃতীয় ওভারে সেই জেনসেনের বলেই বোল্ড হন নাইব।
রাবাদা-নরকিয়াদের বলও সামলে উঠতে পারেনি জারদান-ওমারজাইরা। এরপর শামসির ঘূর্ণির সামনে তো দাঁড়াতেই পারেনি আফগান ব্যাটাররা। আফগানিস্তানের হয়ে শুধু ওমারজাই (১০) দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। আফগানদের তিনজন ব্যাটসম্যান রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন। ২ রানে আউট হয়েছেন চার ব্যাটসম্যান। মাত্র ১১.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম কোন দল হিসেবে সেমিফাইনালে একশ রানের আগে অলআউট হল। তার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও এটি আফগানিস্তানের সর্বনিম্ন স্কোর।
প্রোটিয়াদের বোলাররা আজ দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ১.৫ ওভারে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাবরাইজ শামসি। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছেন মার্কো জেনসেন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন নরকিয়া ও রাবাদা।