দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ আজ (সোমবার) রাতে যে মাঠে মুখোমুখি হবে, সেই নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেন বোলারদের স্বর্গরাজ্য। এখন পর্যন্ত এ মাঠে সাফল্য পেয়েছেন শুধুই বোলাররা। সর্বশেষ গতকাল (রোববার) রাতের ম্যাচেও ভারত পাকিস্তানকে ১২০ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে ম্যাচ জয় করে এনেছে এই মাঠেই। তাই ফর্মে থাকা বাংলাদেশি বোলাররা এই মাঠে পাবেন বড় এক সুবিধা।
বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের চোখেও ম্যাচ জয়ের বড় ফ্যাক্টর হতে পারেন বোলাররাই। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে ম্যাচ পূর্ববর্তী আলোচনায় তামিম বলেন, ‘অবশ্যই, আমার মনে হয় নতুন বলে বোলিংটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ করে তাসকিনের চার ওভার এবং মুস্তাফিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা (সাউথ আফ্রিকার ব্যাটার) হয়ত রান করেনি কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে তারা খুবই বিপদজনক ব্যাটার।’
তামিম মনে করেন, নতুন বলেই নিজেদের কাজ ঠিকভাবে করতে হবে বাংলাদেশের বোলারদের। তার কথায়, ‘আপনি তাদেরকে সুযোগ দিতে পারবেন না, কারণ ডি কক যদি একটু সুযোগ পায় তাহলে সে আপনাকে ভোগাবে। তাসকিন ভালো বোলিং করছে। সব মিলিয়ে নতুন বলে বাংলাদেশ ভালো বোলিং করছে। অবশ্যই উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পাবে। আমরা যে খেলাগুলো দেখেছি তাতে অসম বাউন্স আছে। বাংলাদেশ যদি জিততে চায় তাহলে নতুন বল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
একই অনুষ্ঠানে সাউথ আফ্রিকার সাবেক পেসার মরনে মরকেলও বাংলাদেশের বোলিংকেই ধরে নিয়েছেন শক্তির মূল জায়গা হিসেবে, ‘তাসকিন এমন একজন যে কিনা গতিময় বোলিং করতে পারে। টেস্ট ম্যাচের মতো লেংথ ধরে সে সঠিক জায়গায় বোলিং করে। এই উইকেটে সে সহায়তা পাবে। আর ফিজ তো বিশ্বমানের একজন। তার বোলিংয়ে সব ধরনের স্কিল ও বৈচিত্র্য আছে। আমি নিশ্চিত সাউথ আফ্রিকার ব্যাটাররা তার বিপক্ষে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না।
অভিজ্ঞ এই বোলার ফিজকে নিয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘সে খুবই অ্যাকুরেট এবং তাকে খেলা খানিকটা কঠিন। এই ধরনের উইকেটে যাদের ন্যাচারাল বৈচিত্র্য আছে তারা যদি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে দারুণ কিছু হবে। ম্যাচ সম্পর্কে মরকেলের মন্তব্য, ‘বাংলাদেশের এখনও দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়নি। তারা হয়ত সাউথ আফ্রিকাকে চাপে রাখতে চাইবে। বাংলাদেশের দিক থেকে যদি বলি তাহলে সফট বাউন্ডারি, স্কোরিং অপশন কিংবা টপ অর্ডারকে উপায় খুঁজে বের করার সুযোগ দেয়া যাবে না।’