সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে ২০২৩–২৪ মৌসুম। আর কয়েকটি ম্যাচ শেষেই পর্দা নামবে চলতি মৌসুমের। শেষ হতে যাওয়া এ মৌসুমে সবচেয়ে বড় চমকের নাম বায়ার লেভারকুসেন। আজ রাতে অগসবুর্গের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই নতুন এক ইতিহাস গড়বে জার্মানির ক্লাবটি। কোনো ম্যাচ না হেরে ‘ইনভিন্সিবল’ বা অজেয় থেকে মৌসুম শেষ করার গৌরব অর্জন করবে জাবি আলোনসোর দল।
শুধু লিগেই নয়, গোটা মৌসুম অপরাজিত থাকার সুযোগ আছে লেভারকুসেনের। সেটি করতে হলে ইউরোপা লিগ ও জার্মান কাপের ফাইনাল জিততে হবে দলটিকে। তাতে ‘ট্রেবল’ জেতাও হয়ে যাবে লেভারকুসেনের। তবে এরই মধ্যে লেভারকুসেন যা করেছে, তা ফুটবল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মৌসুম শুরুর আগে যে দলটিকে কেউ গোনায় ধরেনি, তারাই গড়েছে নতুন এক ইতিহাস।
অজেয় এ যাত্রার পথে ইউরোপের শীর্ষ দলগুলোর ওপরও দাপট দেখিয়েছে লেভারকুসেন। যেখানে ম্যাচপ্রতি পয়েন্টে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলানের মতো পরাশক্তিদের ছাড়িয়ে গেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। এ মৌসুমে লিগে এখন পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচ খেলে ২৭ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৮৭ পয়েন্ট অর্জন করেছেন লেভারকুসেন।
যেখানে ম্যাচপ্রতি দলটির পয়েন্ট ২.৬৪ করে। এ তালিকায় লেভারকুসেনের পরেই আছে রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা ৩৬ ম্যাচে ২৯ জয়, ৬ ড্র এবং ১ হারে পেয়েছে ৯৩ পয়েন্ট। তাদের ম্যাচপ্রতি পয়েন্ট ২.৫৮।
তালিকার তিনে ইন্টার মিলান। সিরি আর শিরোপা পুনরুদ্ধার করা ইন্টার ৩৬ ম্যাচে ২৯ জয়, ৫ ড্র ও ২ হারে পেয়েছে ৯২ পয়েন্ট। মিলানের ক্লাবটির ম্যাচপ্রতি পয়েন্ট ২.৫৬। ম্যাচপ্রতি পয়েন্টে ইন্টারের অবস্থান ম্যানচেস্টার সিটির ঠিক ওপরে। শেষ ম্যাচ দিয়ে টানা চতুর্থ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতার অপেক্ষায় থাকা সিটির অবস্থান এ তালিকার চারে। যারা ম্যাচপ্রতি পেয়েছে ২.৩৮ পয়েন্ট।
শেষ ম্যাচে সিটি পয়েন্ট হারালে শিরোপা উঠতে পারে আর্সেনালের হাতে। যাদের ম্যাচপ্রতি পয়েন্ট ২.৩২ করে। এই তালিকায় পরের পাঁচটি স্থানে আছে পিএসজি (২.২১), বায়ার্ন (২.১৮), বার্সেলোনা (২.১৭), লিভারপুল (২.১৪) ও স্টুটগার্ট (২.২১)।