শাহিন আফ্রিদিকে সরিয়ে গত ৩১ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয় বাবর আজমকে। এ নিয়ে আফ্রিদি তখন একটু নাখোশ হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম। তৈরি হয়েছিল বিতর্কও।
পিসিবি যখন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে বাবরকে সেখানে ফিরিয়ে আনল, পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ২৯ ক্রিকেটার তখন কাকুলের সামরিক একাডেমিতে ক্যাম্প করছিলেন। ১১ দিনের ক্যাম্প চলাকালে পিসিবি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, শাহিন নতুন অধিনায়ক বাবরকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে সহযোগিতা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তখন শাহিনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, পিসিবি নিজেদের মনগড়া কথা বিবৃতিতে জুড়ে দিয়েছে। এরপর আফ্রিদি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বলেছিলেন, ‘ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ো না; কতটা নির্মম হতে পারি, ভাবতেও পারবে না।’
সে যাহোক, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেই আফ্রিদির কণ্ঠে এখন অন্য সুর। তাঁকে সরিয়ে বাবরকে অধিনায়ক পদে ফেরানোর পর পাকিস্তান দলে বিভেদ তৈরি হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছিল। বাঁহাতি এই পেসার সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘পরিবারে কখনো কখনো ছোটখাটো মতবিরোধ হতেই পারে, এমনকি সেটি ভাইদের মধ্যেও হয়। কিন্তু আমাদের দলে এমন কোনো কিছুই নেই।’
পিসিবির পডকাস্টে এই কথা বলেছেন আফ্রিদি। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের খেলোয়াড়েরা একে অপরের কথা শোনে। আমাদের দায়িত্ব হলো ক্রিকেট খেলে দেশকে আনন্দে ভাসানো।’
গত বছর নভেম্বরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে আফ্রিদিকে নিয়ে আসা হয় তাঁর জায়গায়। কিন্তু দায়িত্বটি বেশি দিন পালন করতে পারেননি আফ্রিদি। সম্প্রতি বাবরের নেতৃত্বেই আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই পেসার। গত মঙ্গলবার শেষ হওয়া এই সিরিজের পর পাকিস্তানের সামনে এখন ইংল্যান্ড সফর।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সংস্করণে সেখানে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বাবরের দল। ২ জুন (বাংলাদেশ সময়) শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করবে পাকিস্তান।
আফ্রিদি জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান দলের ঐক্য অটুট আছে। তাঁর ভাষায়, ‘ঐক্য বজায় রেখে খেলাটা আমাদের লক্ষ্য। এই সময়টাও বিরোধ কিংবা তর্ক করার নয়। এখন সবার একই রাস্তায় চলার সময়।’
নিজের বোলিং নিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ‘ছন্দ ও গতি দিয়ে বোলিং করছি। নিজের স্পেলগুলো উপভোগ করছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব বোলারেরই এক-দুই ম্যাচ পরপরই বাজে দিন যায়। বোলাররা এখন এমন সব চ্যালেঞ্জেরই মুখোমুখি হয়।’