Messi

মেসি–বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন, নিলামে ১১ কোটি টাকায় বিক্রি

গল্পটা সবারই জানা। ১৩ বছর বয়সী লিওনেল মেসি ও একটি ন্যাপকিন পেপারের গল্প। ২০০০ সালে বার্সেলোনার ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন মেসি। তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে সে বছরের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনা টেনিস ক্লাবে মেসির সঙ্গে চুক্তি করেছিল কাতালান ক্লাবটি।

আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে যেন অন্য কোনো ক্লাব নিতে না পারে, সে জন্য তাড়াহুড়া করে একটি ন্যাপকিন পেপারের ওপর সেই চুক্তি করা হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে জানা গিয়েছিল, ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার মার্চে নিলামে তুলবে ব্রিটিশ নিলামপ্রতিষ্ঠান বোনহামস। মার্চে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, ন্যাপকিন পেপারের দাম ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে।

কিন্তু মেসি-বার্সা সম্পর্ক শুরুর সেই ঐতিহাসিক ‘দলিল’–এর দাম আসলে প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস জানিয়েছে, শুক্রবার ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা) বিক্রি হয়েছে। নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার।

মেসিকে নিজেদের জন্য পেতে ন্যাপকিন পেপারে প্রাথমিক চুক্তি সারার পর আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করেছিল বার্সা। বাকিটা ইতিহাস। বার্সার হয়ে এমন কোনো শিরোপা নেই, যা জেতেননি মেসি। তাঁর কিংবদন্তি হয়ে ওঠার যাত্রা শুরুও ক্যাম্প ন্যুর ক্লাবটি থেকেই। ন্যাপকিন পেপারে করা সে চুক্তিতে লেখা ছিল, ‘বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।’

কিন্তু মেসি-বার্সা সম্পর্ক শুরুর সেই ঐতিহাসিক ‘দলিল’–এর দাম আসলে প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস জানিয়েছে, শুক্রবার ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা) বিক্রি হয়েছে। নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার।

মেসিকে নিজেদের জন্য পেতে ন্যাপকিন পেপারে প্রাথমিক চুক্তি সারার পর আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করেছিল বার্সা। বাকিটা ইতিহাস। বার্সার হয়ে এমন কোনো শিরোপা নেই, যা জেতেননি মেসি। তাঁর কিংবদন্তি হয়ে ওঠার যাত্রা শুরুও ক্যাম্প ন্যুর ক্লাবটি থেকেই। ন্যাপকিন পেপারে করা সে চুক্তিতে লেখা ছিল, ‘বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।’

ন্যাপকিন পেপারে নীল কালিতে চুক্তি লেখা হয়েছিল। মেসির বাবা হোর্হে মেসি তাঁর ছেলেকে আর্জেন্টিনায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। হোর্হেকে আশ্বস্ত করতে বার্সা তড়িঘড়ি করে ন্যাপকিন পেপারে চুক্তিটি সম্পন্ন করে। এই ন্যাপকিন পেপারে গ্যাগিওলি, মিনগেলা ও রেক্সার্সের সই আছে। ঘটনাস্থলে একজন ওয়েটারের কাছে কাগজ চেয়েছিলেন বার্সার তখনকার ক্রীড়া পরিচালক রেক্সার্স। কিন্তু সেই ওয়েটারের কাগজের বদলে তাঁকে একটি সাদা ন্যাপকিন পেপার দেন।

বার্সার হয়ে ৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ১০ বার লা লিগা জয়ের পর ২০২১ সালে মেসি যোগ দেন পিএসজিতে। গত বছর ফরাসি ক্লাবটি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি।

Scroll to Top