ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজটি হার দিয়েই শুরু করেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। আর সেই জয়েই মাথা চাড়া দিয়ে উঠে আরও একটি রেকর্ড। প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হাতছানি দেয় বাংলাদেশের সামনে। তবে সেই ইতিহাস আর গড়া হলো কোথায়! শেষ ম্যাচে হেরে সিরিজ খোয়াল নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল।
এর আগে কখনোই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এত দ্রুত ছয় উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে হলে ১৭৫ রান করতে হবে। লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় নয়। দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ ১৭০ রান পাড়ি দিয়েছিলো ১১ বল হাতে রেখে। আজ না হয় ৫ রান বেশি; কিন্তু ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে ৪র্থ ওভারেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।
স্বপ্ন শেষ করে দেন নুয়ান থুসারা। ১৯ বছর বয়সী এই লঙ্কান পেসারের বোলিং স্টাইল পুরোপুরি লাসিথ মালিঙ্গার মতো। ওভারের প্রতিটি বলই ইয়র্কার লেন্থের দেয়ার চেষ্টা করেন।
তার ইয়র্কার লেন্থের বলই ভালোভাবে পড়তে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৪র্থ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয় এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট তুলে নিলেন পরপর তিন বলে। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
বাংলাদেশ যাদের ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো, ৪র্থ ওভারে পরপর তিন বলে তাদের উইকেট হারানোর পর সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। নুয়ান থুসারা শেষ পর্যন্ত ২০ রান দিয়ে নিলেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশের কোমর যেভাবে তিনি ভেঙে দিয়েছিলেন, সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি টাইগার ব্যাটাররা।
বরং, শঙ্কা ছিল টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন ৭০ রানের স্কোর পার হতে পারে কি না, তা নিয়েও। যদিও শেষ মুহূর্তে রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ ঝোড়ো ব্যাটিং করেছিলেন। রিশাদ ২৬ বলে করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু তার এই হাফ সেঞ্চুরি কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু। পরাজয় ঠেকাতে পারেনি।
বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হলো ১৯.৪ ওভারে ১৪৬ রানে। হার মানতে হলো ২৮ রানের ব্যবধানে।