একটা টুর্নামেন্টের প্রথম কে হেরে যেতে চায়? বোধ-বুদ্ধিহীন কোনো ব্যাক্তিও সম্ভবত এ প্রশ্নের উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলবে না; কিন্তু শুনলে অবাক হবেন, বিপিএলের সবচেয়ে সফল ফ্রাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নাকি প্রথম ম্যাচ জিততেই চায় না। তারা চায় হেরে যেতে। এই হারটা নাকি তাদের জন্য সৌভাগ্যের!
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে বিপিএলের এবারের আসরের শুরুটা ভালো হয়নি চ্যাম্পিয়নদের। উদ্বোধনী ম্যাচে নবাগত দুর্দান্ত ঢাকার কাছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে কুমিল্লা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তোলে কুমিল্লা। জবাবে ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা।
কুমিল্লার ১৪৪ রান তাড়া করতে ঝোড়ো সূচনা পায় দুর্দান্ত ঢাকা। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৬ রান তোলে নবাগত ফ্রাঞ্চাইজিটি। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ বলে ৫২ রানে আউট হন ওপেনার নাঈম। তার বিদায়ে ভাঙে গুনাথিলাকার সঙ্গে ১০১ রানের জুটি। নাঈমের বিদায়ের পর টিকতে পারেননি এই শ্রীলঙ্কানও। ৪২ বলে ৪১ রান করে লঙ্কান ওপেনার ফেরেন তানভীরের বলে।
১১৮ রানে আরেক লঙ্কান লাসিথ ক্রুপসপুলেকে ফেরান মুস্তাফিজ। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে ইরফান শুক্কুরকে ২৪ রানে ফেরান বাঁহাতি এই পেসার। কিন্তু পরের বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন লঙ্কান অলরাউন্ডার চতুরাঙ্গা ডি সিলভা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উইকেট ধরে রাখলেও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। ১৬ বলে ১৩ রানের ধীর ইনিংস খেলে চতুরঙ্গ ডি সিলভার শিকার হন কুমিল্লা অধিনায়ক। সেখান থেকে হৃদয় আর ইমরুল গড়েন ৮৭ বলে ১০৭ রানের জুটি। ফিফটির দোরগোড়ায় এসে ফেরেন হৃদয়। ১ ছক্কায় ও দুই বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৪৭ রান। তার বিদায়ের পরপরই ফেরেন ইমরুল কায়েস। ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় তিনি ৫৬ বলে করেন ৬৬ রান।
ইনিংসের শেষ তিন বলে খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন শরিফুল। সবমিলিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে সপ্তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন শরিফুল। ৪ ওভার বল করে ২৭ রান খরচায় দারুণ বোলিং করেন এই পেসার। শেষ ওভারে তার এমন আগুনে বোলিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস।