কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জয়। এই কৃতিত্বের তিন মালিকের একজন জার্মানির ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার। কিংবদন্তি ফুটবলার এবং কোচ বেকেনবাওয়ার এখন থেকে স্মৃতির পাতায়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) জার্মানির সংবাদ সংস্থা ডিপিএ বেকেনবাওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মাঠে তার দাপুটে উপস্থিতির জন্য নিজ দেশের ভক্ত-সমর্থকরা তাকে ডাকতেন কাইজার (সম্রাট) নামে।
১৯৭৪ সালে খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতেন বেকেনবাওয়ার। এরপর ১৯৯০ সালে তার কোচিংয়ে ফের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি। জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব পর্যায়েও অসামান্য সফলতা উপভোগ করেন তিনি। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ১৯৭৩-৭৪, ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে টানা তিনটি ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) উঁচিয়ে ধরেন।বেকেনবাওয়ার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মিডফিল্ডার হিসেবে। পরে খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করেন ডিফেন্ডার রূপে খেলে। বিভিন্ন ভূমিকায় খেলার অসামান্য সামর্থ্য ছিল তার। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও অবদান রাখতেন তিনি। আধুনিক ফুটবলে \’অ্যাটাকিং সুইপার\’ পজিশন আবিষ্কারের কৃতিত্ব সাধারণত তাকেই দেওয়া হয়।
কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা তিনজনের একজন বেকেনবাওয়ার। বাকি দুজন হলেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশাম। জাগালো গত শনিবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফুটবল দুনিয়া কেঁপে উঠেছে বেকেনবাওয়ারের চিরবিদায়ের দুঃসংবাদে। বেকেনবাওয়ারকে জার্মানির ইতিহাসের সেরা ফুটবলার মনে করেন অনেকে। বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ব্যালন ডি\’অর জেতা ইতিহাসের মাত্র নয় খেলোয়াড়ের তালিকায় আছেন তিনি।