প্রথমার্ধেই গোল হজম করে পিছিয়ে পরেছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে সমতায়ও ফেরে। তবে তখনো যেন অচেনা বার্সা। তাদের নিজস্ব ছন্দ যেন হারিয়ে বসেছিল! তাতে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়া নিয়ে। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে তারা।
গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে লা লিগার খেলায় লাস পালমাসকে তাদের ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। গত বছর তারা শেষ করেছিল প্রীতি ম্যাচে ক্লাব আমেরিকার কাছে হেরে। তবে ২০২৪ সালের শুরুটা জয় দিয়ে করলো জাভি হার্নান্দেজের দল।
পালমাসের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই বার্সেলোনার জন্য ধাক্কা হয়ে আসে জোয়াও কানসেলোর চোট। একাদশ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন কানসেলো। ঠিক পরের মিনিটেই গোল হজম করে বার্সা। সান্দ্রো রামিরেসের ক্রসে টোকায় জাল খুঁজে নেন সাবেক বার্সা খেলোয়াড় মুনির এল হাদ্দাদি। গোল খেয়ে বার্সেলোনার আত্মবিশ্বাসে যেন ধস নামে। ২৩তম মিনিটে আবারও আক্রমণ করে পালামাস। তবে সান্দ্রোর কাছের পোস্টে নেওয়া শট আটকান ইনাকি পেনা। পাঁচ মিনিট পর গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় এবং ভাগ্যের ছোঁয়ায় দ্বিতীয় গোল হজম করেনি বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫তম মিনিটে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে রবার্ট লেভানডোভস্কির পায়ে তুলে দেন সাউল কোকো। তিনি বল বাড়ান তোরেসকে। বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
নির্ধারিত সময়ে আর গোলের দেখা পায়নি কেউ। ম্যাচ গড়ায় যোগ করা সময়ে। তখনই ভাগ্যের ছোঁয়া। বাতাসে ভেসে থাকা বলে হেড করতে গিয়েছিলেন ইলকাই গিনদোয়ান, কিন্তু তাকে পেছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে লাল কার্ড দেখেন সিঙ্কগ্রাভেন। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন গিনদোয়ান।
এই জয়ে পালমাসের বিপক্ষে এ নিয়ে লিগে বার্সেলোনা ১৫ ম্যাচ অজেয় থাকল। লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের (৪৮ পয়েন্ট) সঙ্গে ব্যবধানও কমিয়ে আনল। ১৯ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে জাভির দল।