বাংলাদেশে কোনো ধরনের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না নাসির হোসেন। রাখা হয়নি আসন্ন বিপিএলের ড্রাফট তালিকায়ও। আইসিসি দুর্নীতির অভিযোগ আনায় তাকে দেশের ক্রিকেটে একপ্রকার অলিখিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
গতকাল শুক্রবার একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন, ‘নাসিরের বিরুদ্ধে আইসিসি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। কারো বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ এলে যেকোনো টুর্নামেন্টে তার অংশগ্রহণে সীমাবদ্ধতা আসে।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন নাসির হোসেন। ১২ ম্যাচ খেলে ৪৫.৭৫ গড়ে ৩৬৬ রান করেন তিনি। বল হাতে ১৪.৬ গড়ে শিকার করেন ১৬ উইকেট। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও আগামী বিপিএলে খেলা হচ্ছে না নাসিরের। ২০২৪ বিপিএলের ড্রাফট তালিকা, খেলোয়াড় ধরে রাখার তালিকা— কোথাও নেই এই অলরাউন্ডার।
নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে— ২০২১ সালের আবুধাবি টি-১০ লিগে দুর্নীতিবিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। যেখানে নাসির ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের উপহার নিয়েছেন এবং তিনি তা আমিরাত বোর্ডের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হলে নাসির অসহযোগিতা করেছেন বা সহায়তা করতে অস্বীকার করেছেন।
বিপিএলের ড্রাফট হচ্ছে আগামীকাল ২৪ সেপ্টেম্বর। এবার মোট ২০৩ জন দেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে। সাতটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে তাদের। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকছেন মুশফিকুর রহিম। এই ক্যাটাগরিতে গতবারের মতোই ৮০ লাখ টাকা থাকছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন চার ক্রিকেটার। তারা হলেন— আফিফ হোসেন ধ্রুব, এবাদত হোসেন, ইমরুল কায়েস ও রনি তালুকদার। তাদের পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা। ‘সি’ থেকে ‘জি’ এর তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের ভিত্তিমূল্য ৩০ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা।