সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাংলাদেশকে একেবারেই খালি হাতে ফিরতে হলো না। যদিও দল বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনাল থেকে, তবুও দীর্ঘ ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে খেলাটা বড় অর্জনই বটে। তাতে বড় ভূমিকা ছিল গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর। যার স্বীকৃতিও তিনি পেয়েছেন, সাফের সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হয়েছেন জিকো।
সেমি-ফাইনালে টাইব্রেকারে স্পট কিক সেভ করেছিলেন ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ফাইনালেও একটি স্পট কিক ফিরিয়ে দলের জয়ের নায়ক তিনি। তবুও গুরপ্রীত এবারের বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা গোলরক্ষক নন। গোলবারে এই আসরের সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন জিকো।
গ্রুপ পর্ব ও সেমি-ফাইনাল মিলিয়ে বাংলাদেশের চার ম্যাচেই পোস্ট সামলেছেন তিনি। ক্লিনশিট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি একবারও; সব মিলিয়ে পরাস্ত হন মোট পাঁচবার। তবে এই সাধারণ পরিসংখ্যান ফুটিয়ে তুলতে পারছে না তার পারফরম্যান্সকে। অসংখ্যবার দলের ত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছেন তিনি।
এবারের আসরে সেমি-ফাইনালে খেলা চার দলের গোলরক্ষকদের মধ্যে জিকো সবচেয়ে বেশিবার পরাস্ত হয়েছেন। কিন্তু তার পরও এতটাই অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন যে নির্বাচকদের তাকেই বেছে নিতে হয়েছে সেরা হিসেবে। পরিসংখ্যান মতে চার ম্যাচে ১৫টি সেভ করেছেন আনিসুর।
দারুণ সব সেভ করে প্রতিটি ম্যাচেই আলাদা করে নজর কাড়েন তিনি। একক লড়াইয়েই বাংলাদেশকে ফাইনালের পথে রেখেছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় লাল-সবুজের দলকে।
এদিকে পাঁচ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ভারতের তারকা ফরোয়ার্ড সুনিল ছেত্রি। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক উপহার দেন তিনি।