আয়ারল্যান্ডকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

লিটন দাসের প্রথম বলে ফেরা থেকে শুরু। এরপর ব্যাটাররা ছোট ছোট জুটি গড়ে আউট হলেন রীতিমতো আত্মহুতি দিয়ে। মুশফিকুর রহিম পেলেন হাফ সেঞ্চুরি, ইনিংসে আরও কয়েকজন ভালো শুরু করেছিলেন। তবুও মাঝারি সংগ্রহ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে টাইগারদের।

ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি বাংলাদেশ ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে এই সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা।

শুরুটা হয় লিটন দাসকে দিয়ে, ইনিংসের একেবারে প্রথম বলেই। জশ লিটলের ইয়র্কার ডিফেন্ড করতে গিয়েও পারেননি লিটন, প্যাডে লাগার পর আউটের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কোনো রান না করেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে তামিম ইকবালের কাঁধে ছিল ইনিংস গড়ার দায়িত্ব। বাংলাদেশ অধিনায়ক দুই বাউন্ডারিতে দিচ্ছিলেন খোলস ছেড়ে আসার বার্তাও। কিন্তু মার্ক অ্যাডাইয়ারের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালাতে যান তিনি।

আম্পায়ার শুরুতে আবেদনে সাড়া দেননি, কিন্তু পরে রিভিউতে দেখা যায় তামিমের ব্যাটে লেগেই উইকেটরক্ষকের কাছে গেছে বল। অবিশ্বাস নিয়ে ১৯ বলে ১৪ রান করা তামিম পথ ধরেন সাজঘরের দিকে।

এরপর ক্রিজে এসে সাকিব আল হাসান ব্যাট চালাচ্ছিলেন, তিনি স্ট্রাইক রোটেটও করছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু তিনিও পারেননি প্রত্যাশা পূরণ করতে। গ্রাহাম হিউমের বলে এগিয়ে এসে লাইন মিস করে বোল্ড হন, এর আগে ২১ বলে ২০ রান করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

৫২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭ চারে ৬৬ বলে ৪৪ রান করে শান্ত আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

হৃদয়ও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। গ্রাহাম হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩১ বলে ২৭ রান করেন তিনি। পরের লড়াইটা ছিল মুশফিকুর রহিমের। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৫ রানের। ৪ চারে ৩৪ বলে ৫৭ রান করে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ক্যাচ দেন মিরাজ।

মুশফিকুর রহিম কিছুক্ষণ লড়েন তাইজুল ইসলামকে নিয়েও। কিন্তু তিনি ফেরেন জশ লিটলের বল তুলে মারতে গিয়ে। ক্যাচ আউট হয়ে ফেরার আগে এই ব্যাটার ৬ চারে ৭০ বলে করেছেন ৬১ রান। শেষদিকে তাইজুল ইসলাম ৩৬ বলে ১৪ ও শরিফুল ইসলাম ১৫ বলে ১৬ রান করেন।