সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সালাহউদ্দিনকে সহকর্মীদের সঙ্গে কথোপকথনে সাংবাদিকদের বাবা-মাকে নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা যায়। তিনি পাশে থাকা বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদকে বলেন, ‘জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে ফটো দিতে হবে তাদের বাপ-মায়ের। আরেকটা কন্ডিশন হলো, তার বাপের ফটো পাঠাতে হবে জুতা পরা।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি সালাউদ্দিন সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তার কিছু কথা সাংবাদিকদের রেকর্ডারে ধরা পড়ে। আর সেসব কথায় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার বাফুফে কার্যালয়ে ছিল ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। প্রায় চার ঘণ্টা সভা শেষে মিটিং রুমে ঢোকার অনুমতি পান দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা। সেখানে সালাউদ্দিনসহ বাফুফের প্রায় সব শীর্ষ কর্তা ছিলেন।
বাফুফে কর্মকর্তাদের বক্তব্য ধরে রাখার জন্য রেকর্ডার অন করে রাখছিলেন সাংবাদিকরা। আর আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সহকর্মীদের সঙ্গে কথোপকথনে সাংবাদিকদের বাবা-মাকে নিয়ে কটাক্ষ করা সালাউদ্দিনের মন্তব্য ধরা পড়ে সেই রেকর্ডে। পাশে থাকা বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদকে তিনি বলেন, ‘জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে ফটো (ছবি) দিতে হবে তাদের বাপ-মায়ের।’
পাশ থাকা বাফুফের অন্য সদস্যদের মধ্য থেকে কেউ একজন কিছু বললে প্রত্যুত্তরে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আরেকটা কন্ডিশন হলো, তার বাপের ফটো পাঠাতে হবে জুতা পরা। ঠিক আছে (হাসি)? এটা হতে হবে ম্যান্ডেটরি। বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।’
দেশের এক সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার পরে অবশ্য মিডিয়ার কাছে দাবি করেন যে তিনি বাফুফে নয়, অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় দিকগুলোর ব্যাপারে কথা বলছিলেন।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি নাবিলের সঙ্গে ঢাকা ক্লাবে সদস্যপদ পাওয়ার জন্য কঠোর নিয়মের বিষয়ে কথা বলছিলাম, যেখানে বাবা-মায়ের ছবি বাধ্যতামূলক। এটি ঢাকা ক্লাবের সদস্যপদ নিয়ে ছিল, সাংবাদিকদের বিষয়ে নয়। মিডিয়াতে যেভাবে আলোচনা উপস্থাপন করা হচ্ছে এটা সেরকম নয়। আমি এর জন্য দুঃখিত এবং যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
অবশ্য পরে বাফুফে থেকে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান সালাউদ্দিন। সেখানে আবার তিনি স্রেফ মজা করছিলেন উল্লেখ করে করেন, ‘আমি জার্নালিস্টদের হার্ট করার জন্য বলিনি। আমি নাবিলের সঙ্গে একটা জিনিস নিয়ে জোক করছিলাম। সেটা যে কেউ টেপ করছিল আমি জানি না।’