গতকাল ক্রিকেটের ভিন্ন এক রূপ দেখেছে পুরো বিশ্ব। রিংকু সিং শেষ পাঁচ বলে ৫ ছক্কায় ম্যাচ জিতিয়ে শুধু আইপিএলই নয়, ক্রিকেট ইতিহাসেরই অনন্য এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। তবে ম্যাচে রশিদ খানেরও দুর্দান্ত এক কীর্তি ছিল। হয়তো রিংকুর অতিমানবীয় ইনিংসের কারণে রশিদের সেই কীর্তি অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে।
বিশ্ব টি-টোয়েন্টির অন্যতম বড় তারকা হিসেবে স্বীকৃত আফগানিস্তানের রশিদ খান। বোলিং-ব্যাটিং দুই জায়গাতেই সমান তালে দক্ষ এই অলরাউন্ডার। তিনি যেকোনো সময় খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে বেশ পারদর্শী। রোববার (৯ এপ্রিল) এমনই এক কীর্তি গড়েছেন তিনি। তবে কলকাতার জয়ের কারণে রশিদের হ্যাটট্রিক আনন্দ কিছুটা হলেও মলিন হয়েছে।
২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সমীকরণটা তখন খুব একটাও কঠিন নয় কলকাতার সামনে। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শার্দুল ঠাকুর এবং রিংকু সিংয়ের মতো ব্যাটাররা তখনও উইকেটে আসেননি। এমন লড়াইকে হুট করে কঠিন বানিয়ে দিলেন রশিদ খান। আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন এবং শার্দুল ঠাকুর- এই তিন বিপজ্জনক ব্যাটারকে পরপর তিন বলে সাজঘরে ফেরালেন রশিদ। তাতে চলতি আইপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক নিজের নামে করে নিলেন আফগান এই তারকা।
ম্যাচটিতে প্রথম তিন ওভারে ৩৫ রান দিয়ে বেশ খরুচে ছিলেন রশিদ। তাই নামের প্রতি সুবিচার করে শেষ ওভারে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক তুলে নিলেন আফগান এই তারকা। টুর্নামেন্টটিতে আফগান তারকার প্রথম হ্যাটট্রিকও এটি।
হ্যাটট্রিকে রশিদের প্রথম শিকার ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব আন্দ্রে রাসেল। ভরতের হাতে ধরা পড়ার আগে ২ বলে ১ রান করেন রাসেল। এরপরে দুই বলে রশিদ ফিরিয়েছেন নারিন ও শার্দুল ঠাকুরকে।
রশিদের হ্যাটট্রিকের পর কলকাতার জয়টা ছিল স্বপ্ন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৯ রান। ইয়াশ দয়ালের প্রথম বলে ১ রান নেন উমেশ যাদব। পরের ৫ বলে ৫টি ছক্কা মারলেন রিঙ্কু সিং। তাতে উল্লাসে মাতে কেকেআরের ক্রিকেটাররা।