সকাল হতেই মোস্তাফিজুর রহমান চার্টার্ড বিমানে চড়ে ভারতের পথ ধরেন। তাতে ধারণা করা হচ্ছিল, কাটার মাস্টারকে একাদশে রেখে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হবে দিল্লি ক্যাপটালস। কিন্তু না, মোস্তাফিজকে বেঞ্চে বসিয়ে খেলতে নামে তারা এবং মাঠ ছাড়ে ৫০ রানের হার নিয়ে।
শনিবার ভারত রত্ন শ্রী অটল বিহারী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক লখনৌর সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি দিল্লি। প্রথমে তাদের বোলারদের শাসন করে ৬ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় পুঁজি পায় লোকেশ রাহুলের দল। এরপর বোলারদের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষের ইনিংস ৯ উইকেটে ১৪৩ রানে থামিয়ে দেয় লখনৌ।
স্বাগতিকদের বড় সংগ্রহের নেপথ্যে ছিলেন কাইল মায়ার্স। ক্যারিবীয় বিগ-হিটার ৩৮ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় খেলেন ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তাদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে আরেক ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে।
মোস্তাফিজহীন বোলিং লাইনআপে থাকা বোলারদের কেউই ছিল না মিতব্যয়ী। খলিল আহমেদ দুই উইকেট শিকারের বিপরীতে ২৪ বলে দেন ৩০ রান। সমান সংখ্যাক বলে সমান সংখ্যক উইকেট পেতে চেতন সাকারিয়া খরচ করেন ৫৩ রান।
একটি করে উইকেট পান অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব। ৪ ওভারে দুজনে যথাক্রমে দেন ৩৮ ও ৩৫ রান। কোনো উইকেট না পাওয়া মুখেশ কুমারের ২৪ বলে ৩৪ রান পায় লখনৌ।
নখ-দন্তহীন বোলিংয়ের পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে কখনোই জয়ের পথে ছিল না দিল্লি। বলার মতো স্কোর করতে পারেন ডেভিড ওয়ার্নার (৪৮ বলে ৫৬ রান) এবং রাইল রুশো (২০ বলে ৩০ রান)। বাকিরা ছিলেন যাওয়া-আসায় ব্যস্ত। ছেলেদের সেই অসহায় আত্মসমর্পন বেঞ্চে বসে দেখেছেন পরামর্শক সৌরভ গাঙ্গুলী এবং প্রধান কোচ রিকি পন্টিং।
ম্যাচসেরা হয়েছেন লখনৌর ইংলিশ পেসার মার্ক উড। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এটাই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং উডের।