আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তবে উইকেটে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ অবশেষে শামীম হোসেনের অভিষেক হাফসেঞ্চুরিতে ১৯.২ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করেছে।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৫ রানে মার্ক অ্যাডায়ারের বল তুলে মেরে জর্জ ডকরেলের ক্যাচ হন লিটন দাস। পরের ওভারে হ্যারি টেক্টরের শিকার হন ৪ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত। আর চতুর্থ ওভারে রনি তালুকদার কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফেরেন।
সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়রাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অধিনায়ক সাকিব অ্যাডায়ারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৬ রানে ফেলেন। আর বেন হোয়াইটের বলে ব্যক্তিগত ১২ রানে মাঠ ছাড়েন হৃদয়।
আইরিশ অভিষিক্ত স্পিনার ম্যাথু হামফ্রেজ নিজের প্রথম ওভারে এসেই বাজিমাত করেন। প্রথম বলে তিনি বাংলাদেশের অভিষিক্ত রিশাদ হোসেনকে ৮ রানে বোল্ড করেন। আর তৃতীয় বলে তাসকিন তুলে মেরে ক্যাচ আউট হন। ৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
অষ্টম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে কিছুটা টেনে তোলেন শামীম হোসেন ও নাসুম আহমেদ। তারা ৩৪ বলে ৩৩ রান তোলেন। পরে নাসুম গ্যারেথ ডেলানির বলে ১৩ রান করে আউট হন। আর শরীফুলকে ৫ রানে তৃতীয় শিকার বানান অ্যাডায়ার।
অন্যদের ব্যর্থতার দিনে বুক চিতিয়ে লড়েছেন শামীম হোসেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অভিষেক হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। অবশেষে ৪২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানে ফিওন হ্যান্ডের বলে শেষ ওভারে আউট হন এই বাঁহাতি।
আইরিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান অ্যাডায়ার। ২টি উইকেট নেন ম্যাথু হামফ্রেজ।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ২-০তে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ স্বাগতিকরা।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন হয়েছে। অভিষেক হয়েছে রিশাদ হোসেনের। এছাড়া বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামও দলে ফিরেছেন। গত ম্যাচের একাদশ থেকে নেই মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
অন্যদিকে আইরিশ একাদশে ডানহাতি পেসার গ্রাহাম হিউমের জায়গায় অভিষেক হলো ম্যাথু হামফ্রেজের।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, রনি তালুকদার, তাওহিদ হৃদয়।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: মার্ক অ্যাডায়ার, রস অ্যাডায়ার, কার্টিস ক্যাম্পার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, ম্যাথু হামফ্রেজ, পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, বেন হোয়াইট, ফিওন হ্যান্ড।